জয় দিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে পাকিস্তান। শারজাহতে শুক্রবার আফগানিস্তানকে ৩৯ রানে হারিয়েছে সালমান আলি আগার দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ৭ উইকেটে ১৮২ রান করে। জবাবে ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে অলআউট হয়েছে আফগানিস্তান। শাহিবজাদা ফারহান ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ১০ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ২১ রান করেন পাকিস্তানি ওপেনার। সাইম আইয়ুবকে নিয়ে ২.৩ ওভারে ২৬ রানের ওপেনিং জুটি ছিল তার। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে আর কোনও উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান তোলে তারা। পাওয়ার প্লের পরে পাকিস্তানের রান তোলার গতি কমে গিয়েছিল। সালমান আগা চার নম্বরে নেমে দলকে আবার রানে ফেরান। তার সঙ্গে বড় কোনও জুটি না হলেও ক্যামিও ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ হারিস ও ফাহিম আশরাফ। সালমান ইনিংস সেরা ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। পাকিস্তান অধিনায়কের ৩৬ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি করে চার ও ছয়। নওয়াজ ১১ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ২১ রান করেন। হারিস ১৫ রান যোগ করেন। ফাহিম ৫ বলে ১৪ রান তোলেন একটি করে চার ও ছয়ে। আফগানিস্তানের তিন স্পিনার সুবিধা করতে পারেননি। মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খান যথাক্রমে ২২, ১৮ ও ২৬ রান দিয়ে একটি করে উইকেট নেন। লক্ষ্যে নেমে তৃতীয় ওভারে আফগানদের ওপেনিং জুটি ভাঙেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ইব্রাহিম জাদরান (৯) ফিরে যাওয়ার পর রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সেদিকউল্লাহ আতাল আফগানিস্তানকে লড়াইয়ে রাখেন। অষ্টম ওভারে রহমানউল্লাহ (৩৮) আউট হলেও ম্যাচে ছিল তারা। আফগানরা ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় হারিস রউফের ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে। ১৩তম ওভারে কোনও রান না দিয়ে সেদিকউল্লাহ (২৩) ও করিম জানাতকে খালি হাতে ফেরান পাকিস্তানি পেসার। তারপর সুফিয়ান মুকিম টানা দুই ওভারে দুটি উইকেট তুলে নেন। তাতে মাত্র ৪ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় আফগানরা। নিশ্চিত হারা ম্যাচে আফগানিস্তান প্রাণ ফিরে পায় রশিদের ক্যামিও ইনিংসে। ১৭তম ওভারে সুফিয়ানকে একটি করে ছয় ও চার মেরে ১৪ রান তোলেন তিনি। পরের ওভারে রউফকে তিন ছক্কা হাঁকান। তাতে ১৩ বলে লক্ষ্য কমে দাঁড়ায় ৪২ রানে। ওই ওভারে ১৯ রান তুলে শেষ বলে হাসান নওয়াজের ক্যাচ হন রশিদ। অষ্টম উইকেটে মুজিবকে নিয়ে রেকর্ড ৪৪ রান গড়ে ফিরে যান তিনি। তার ১৬ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে ছিল ১ চার ও ৫ ছয়। ওখানেই আফগানিস্তান হার দেখে। শাহীন ও হারিস বাকি দুটি উইকেট তুলে জয় নিশ্চিত করেন। হারিস ৩.৫ ওভারে ৩১ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সফল বোলার। চতুর্থবার টি-টোয়েন্টিতে চার উইকেটের দেখা পেলেন এই পেসার। শাহীন, নওয়াজ ও সুফিয়ান দুটি করে উইকেট পান। ম্যাচসেরা হয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান।