তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট দল। তবে সফরের প্রথম ম্যাচেই হার দিয়ে শুরু করেছে সফরকারী দলটি। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে পাত্তা পায়নি নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচে জয় নিয়ে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের সামনে আজ সিরিজ জয়ের সুযোগ। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে জিতলেই এক ম্যাচ আগে সিরিজ নিশ্চিত করবে টাইগাররা। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি টি-স্পোর্টস সরাসরি সম্প্রচার করবে। ২০১২ সাল থেকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নেদারল্যান্ডসের কাছে কোনো ম্যাচেই হারেনি বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ছয় ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে হেরেছে টাইগাররা। ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডস সফরে দুই ম্যাচের সিরিজে একটি ম্যাচ হেরেছিল টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়েছিল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সর্বশেষ ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হওয়া ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ২৫ রানে। কিন্তু ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের লজ্জা পেয়েছিল বাংলাদেশ। অবশ্য শক্তি আর পরিসংখ্যানে সফরকারী দলটি থেকে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচেও সেটা প্রমান দিয়েছে টাইগাররা। ব্যাটে-বলে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেই ম্যাচ জিতেছে স্বাগতিকরা। সিলেটে প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৬ রান তোলে নেদারল্যান্ডস। জবাবে ১৩.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান করে বাংলাদেশ। ফলে ৮ উইকেটে বড় জয়ে সিরিজ শুরু করে স্বাগতিকরা। জয়ের জন্য ১৩৭ রানের টার্গেটে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিল বাংলাদেশ। ৯ বলে ১৫ রান করে আরিয়ান দত্তের বলে বোল্ড হন পারভেজ হোসেন ইমন। ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে লিটন-তামিম গড়ে ৬৬ রানের জুটি। দলীয় ৯২ রানে টিম প্রিঙ্গলের শিকার হন তানজিদ হাসান তামিম। ২৪ বলে ২৯ রান করে তামিম ফিরলে জুটি ভাঙে। সাইফ হাসানকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন অধিনায়ক লিটন। ২৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। একটি চার ও তিনটি ছক্কায় সাইফ অপরাজিত থাকেন ১৯ বলে ৩৬ রানে। এর আগে বল হাতে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। চতুর্থ ওভারে তাসকিনের বলে ডাচ ওপেনার ম্যাক্স ও’দো ক্যাচ তুলে দেন জাকের আলী অনিকের হাতে। দলীয় ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। আরেক ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং চার রান করে বিদায় নেন তাসকিনের বলেই। এবার ক্যাচ নেন পারভেজ হোসেন ইমন। দুই বছর পর দলে ফিরে জোড়া উইকেটের দেখা পান সাইফ হাসান। ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে জাকেরের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান।তেজা নিদামানুরু ২৬ রান করে সাইফের বলে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেন। ব্যাট হাতে রান পেতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে ডাচ ব্যাটারদের। উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। ১৫ রান করে শারিজ আহমেদ পরিণত হন মুস্তাফিজুর রহমানের শিকারে। এরপর নোয়াহ ক্রোস ও কাইল ক্লেইনকে বিদায় করেন তাসকিন। নেদারল্যান্ডস থামে ১৩৬ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ২৮ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। সাইফ হাসান দুটি এবং মুস্তাফিজ পান একটি উইকেট।