সফরকারী নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে চার দিনের ম্যাচে সেঞ্চুরি মিস করেছেন নাঈম শেখ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ‘এ’ দলের ওয়ানডে সিরিজে সেভাবে ব্যাট না হাসলেও লম্বা সংস্করণে খেলতে নেমেই রান পেয়েছেন নাঈম। ঢাকায় দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেই রানের দেখা পেয়েছেন তিনি। বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে খেলেছেন ৮২ রানের ইনিংস। সবমিলিয়ে প্রথম দিনে ৫৭.৩ ওভার ব্যাটিং করে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২২৫। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই দল। প্রথম দিন খেলা হয়েছে মাত্র ৫৭.৩ ওভার। আলোকস্বল্পতা ও বৃষ্টির কারণে শেষ সেশনের বেশিরভাগ সময়ের খেলা প- হয়ে যায়। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ‘এ’ দলের শুরুটা ছিল দারুণ। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয় প্রথম সেশন নির্বিঘেœ পার করেন। তারা ২৭ ওভারে দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করান ১১৩ রান। এ সময় ফিফটি তুলে নেন নাঈম। এরপর ফিফটির পথে এগোচ্ছিলেন এনামুল। কিন্তু লাঞ্চ বিরতির পরেই ছন্দপতন ঘটে। ফিরে এসেই দুই ওভারের ব্যবধানে আউট হন দুই সেট ব্যাটার। ৪৮ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এনামুল। পেসার ফলকসের স্লোয়ার ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন। নাঈম ৮২ বলে ৭৬ রান করে আউট হন। স্পিনার লেনক্সের বলে মিড-অন থেকে দৌড়ে লং অনে গিয়ে ফক্সক্রফ্ট দারুণ এক ক্যাচ নেন। ১০টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ছিল নাঈমের ইনিংস। এরপর সাইফ হাসান ও জাকির হাসান মিলে জুটি গড়েন। তাদের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। তবে জাকির বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কিউইরা আক্রমণে আনে লেগ স্পিনার ম্যাট বোয়েলকে এবং প্রথম ওভারেই আসে সাফল্য। সুইপ করতে গিয়ে টপ এজে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকির। তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। এরপর নতুন ব্যাটার অমিত হাসানকে সঙ্গে নিয়ে সাইফ হাসান দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। ফিফটি তুলে নেন সাইফ। তার ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিল দল বড় সংগ্রহের দিকে এগোবে। কিন্তু তিনিও ভুল শটে উইকেট দিয়ে আসেন। ফলকসের বাউন্সার পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দেন। এরপর খেলা বেশিদূর এগোয়নি। আট বল পরেই নামে বৃষ্টি, আর মাঠ ছাড়েন খেলোয়াড়রা। দিনের শেষে অমিত হাসান ১৬ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১ রানে অপরাজিত ছিলেন।