বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শুরুটা ভালো করতে পারেনি চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। টেস্টের ক্রিকেটের মর্যাদাবান ট্রফি জেতার লড়াইয়ে নেমে প্রথম সেশনেই অস্ট্রেলিয়াকে বেকায়দায় ফেলে দেয় প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলতে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম সেশনে ২৩.২ ওভার ব্যাট করে অসিদের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৬৭ রান। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ভালো ভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। এই জুটি ভাংগার আগেই দলটি পৌঁছে যায় ১৪৬ রানে। স্টিভ স্মিথের করা ৬৬ রানের উপর ভর করে দলটি ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে চ্যাম্পিয়নরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ৪৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান নিয়ে ব্যাট করছিল। গতকাল টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেন বোলিং তোপে অজিদের চাপে ফেলেছে দেয়। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ৪ বলে ৪ রান দিয়ে উসমান খাজা ও ক্যামেরন গ্রিনকে মাঠছাড়া করেন রাবাদা। প্রথম স্লিপে ডেভিড বেডিংহামের ক্যাচ হয়ে খাজা ডাক মারলে ১২ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙে। ৩ বল পর দলের ১৬ রানে দ্বিতীয় শিকার হন গ্রিন। ৪ রান করে এইডেন মারক্রামকে ক্যাচ দেন তিনি। মার্নাস লাবুশেন ও স্টিভ স্মিথ ইনিংস মেরামত করছিলেন। কিন্তু ৩০ রানে এই জুটি ভাঙে লাবুশেনের বিদায়ে। অজি ওপেনার ৫৬ বলে ১৭ রানে কিপার কাইল ভেরেইন্নার ক্যাচ হোন। ৪৬ রানে তিন উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ইয়ানসেন তার দ্বিতীয় উইকেট নেন ট্রাভিস হেডকে ফিরিয়ে। গত বছরের ফাইনালে একই পরিস্থিতিতে সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটার মাত্র ১১ রান করে ভেরেইন্নার এক হাতের ক্যাচে বিদায় নেন। ২১ রানের জুটি ভাঙতেই প্রথম সেশন শেষ হয়। ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক লর্ডসে টস হেরে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটার উসমান খাজা ও মারনাস লাবুশেন শুরু থেকেই পিচে যেন কেমন অস্বস্তি অনুভব করছিলেন। দুইদিক থেকে আক্রমণে আসার দুই দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদা ও মার্কো জানসেনের বলে বারবার পরাস্ত হতে থাকেন তারা। ব্যাটে যেন বল স্পর্শ করাতেই পারছিলেন না খাজা ও লাবুশেন। উইকেট পতনের শুরুটা হয় সেখান থেকেই।
অস্ট্রেলিয়ার একাদশ: উসমান খাজা, মার্নাস লাবুশেন, ক্যামেরন গ্রিন, স্টিভেন স্মিথ, ট্রাভিস হেড, বিউ ওয়েবস্টার, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটকিপার), প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড, নাথান লায়ন।
দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশ: এইডেন মার্করাম, রায়ান রিকেলটন, উইয়ান মুল্ডার, তেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), ত্রিস্তান স্ট্যাবস, ডেভিড বেডিংহ্যাম, কাইল ভেরাইনে, মার্কো ইয়ানসেন, কেশভ মহারাজ, কাগিসো রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিডি।