বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল দেরিতে হলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ আরও কয়েকটি বিভাগীয় শহরে ক্রিকেটের আঞ্চলিক অফিস করার সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত। বিশ্বের সব টেস্ট খেলুড়ে দেশের প্রায় আঞ্চলিক ক্রিকেট পরিদপ্তর থাকলেও বাংলাদেশে তা নেই। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ২৫ বছর প্রায় পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিকেন্দ্রীকরণ হয়নি। তবে ক্রিকেটে কেন এই বিকেন্দ্রীকরণ? টেস্ট খেলিয়ে দেশের বোর্ড ব্যবস্থাপনায় বিকেন্দ্রীকরণের প্রয়োজনীয়তাই বা কি? আঞ্চলিক ক্রিকেট অধিদপ্তরগুলোর কাজই বা কি? ঢাকার বাইরের ক্রিকেট কর্তারা জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে খেলা পরিচালনায় কি কি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন, সেগুলো জানতে ও শেয়ার করতেই বিসিবি উদ্যোগী হয়েছেন দুদিন ব্যাপি ক্রিকেট কনফারেন্স করতে। আজ ৯ ও পরশু ১০ নভেম্বর সোনারগাঁ প্যান প্যাসিফিক হোটেলে হবে এ কনফারেন্স। সে আয়োজন সম্পর্কে পূর্ব ধারণা দিতে গিয়ে বিসিবির হেড অব ক্রিকেট অপারেশন্স শাহরিয়ার নাফীস মিডিয়াকে জানান, এই প্রথমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ক্রিকেট কনফারেন্স। বুলবুল ভাই যখন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, প্রথমে থেকেই কিন্তু উনি বলেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ডিসেন্ট্রালাইজ (বিকেন্দ্রীকরণ) করতে চান। ডিসেন্ট্রালাইজ বলতে ঢাকা থেকে ক্রিকেটটা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়বে এবং অর্গনাইজেশনটাও ঢাকার বাইর থেকেই হবে। বিসিবি হেড অফ ক্রিকেট অপারেশন্স আরও যোগ করেন, সেই ডিসেন্ট্রালাইজেশনটা কি, এটা কেন হবে, কী জন্য প্রয়োজন এবং আমাদের বিভিন্ন জেলার যারা ক্রিকেট স্টেক হোল্ডার, তারা কী চ্যালেঞ্জ মুখোমুখি হচ্ছেন, তাদের যদি কোনো পরামর্শ থেকে থাকে, সে সব কিছু একসঙ্গে জানার জন্য এই ক্রিকেট কনফারেন্সের আয়োজন করা হচ্ছে। কারা কারা আসবেন এই কনফারেন্সে আসবেন? শুধু কি জেলা প্রতিনিধিরাই থাকবেন? নাকি নারী উদ্যোক্তারকেও দেখা যাবে? এসব প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার নাফীস বলেন, এখানে সারা বাংলাদেশ থেকে কাউন্সিলররা আসবেন, যেসব নারী উদ্যোক্তা ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত আছেন তারা এখানে আসবেন। এখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে তাদের মত বিনিময় হবে। আমরা তাদের কথা শুনব, তাদের চ্যালেঞ্জ, তাদের চাওয়া-পাওয়া, কিভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কাজটা আরও সুন্দর করে করতে পারে, তাদের কাছ থেকে আমরা শুনব। আমরাও তাদের সঙ্গে কথা বলব এবং সবাই একসঙ্গে একটা আইডিয়া বের করব, যেটা আমাদের ক্রিকেটকে ডিসেন্ট্রালাইজ করতে অনেক সহায়তা করবে। শাহরিয়ার নাফীসের অনুভব, এ কনফারেন্সটি একটি সময়োচিত পদক্ষেপ। তার বিশ্বাস এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাবে। তাই মুখে এমন আশাবাদী সংলাপ, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উদ্যোগে এটি খুবই সময় উপযোগী একটি আয়োজন। আমি আশা করছি, বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সটা খুবই সফলভাবে আয়োজিত হবে। এখান থেকে আমাদের যে উদ্দেশ্য- ক্রিকেটকে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া আয়োজন করে এবং সফলভাবে সে আয়োজনটা করা। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।’