বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন গতকাল রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। যেখানে সশীরের এবং অনলাইনে উভয় প্রক্রিয়াতেই ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। বিসিবি নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যা ৬টায় ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তনি জানান, ‘আমাদের মোট ১৫৬টি ভোট ছিল। ১৫৬ ভোটের মধ্যে প্রদত্ত ভোট ১১৫টি। অর্থাৎ ভোট প্রদানের হার ৭৩.৭১ শতাংশ। ক্যাটাগরি-১ বিভাগ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা। মোট ভোটার ৩৫। প্রদত্ত ভোট ৩০। ক্যাটাগরি-২ ক্লাব, মোট ভোট ৭৩। প্রদত্ত ভোট ৪২। ক্যাটাগরি-৩ মোট ভোটার ৪৫। প্রদত্ত ভোট ৪৩।’ বিসিবি নির্বাচনে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রাজশাহী বিভাগে ৯টি ভোট থাকলেও সেখানে ভোট পড়েছে ৭টি। এর মধ্যে ৬ জন ই-ব্যালটে এবং একজন স্বশরীরে ভোট দিয়ে গেছেন। রংপুর বিভাগে ৯ ভোটের মধ্যে মাত্র ৫টি ভোট পড়েছে। যেখানে তিনটি ই-ব্যালটে এবং দুইজন স্বশরীরে ভোট দিয়েছেন। 'বি' ক্যাটাগরিতে মোট ৭৬ জন ভোটার। তবে সেখানে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৪৩ জন কাউন্সিলর। তাদের মধ্যে ৩৪ জন ই-ভোট দিয়েছেন এবং ৯ জন স্বশরীরে এসে ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ ৩৩ জন ভোট দেননি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৪৫ জনের মধ্যে ৪৩ জনের ভোট কাস্ট হয়েছে। ৫টি ই-ভোট এবং ৩৮ জন স্বশরীরে ভোট দিয়েছেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই নির্বাচনে, ৩টি ক্যাটাগরি থেকে ২৩ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া এনএসসি কোটায় ২ জন নির্বাচিত হয়েছেন। ক্যাটাগরি-১ অর্থাৎ জেলা ও বিভাগ কোটায় নির্বাচিত হয়েছেন ১০ জন, ক্যাটাগরি-২ বা ঢাকার ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১২ জন। ক্যাটাগরি-৩ অর্থাৎ সাবেক ক্রিকেটার এবং বিভিন্ন সরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোটা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১ জন। ক্যাটাগরি-২ অর্থাৎ ঢাকার ক্লাব কোটা থেকে সর্বাধিক ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনজন; ইশতিয়াক সাদেক, শানিয়ান তানিম ও ফারুক আহমেদ। দ্বিতীয় সর্বাধিক ৪১ ভোট করে পেয়েছেন আরও তিনজন; আমজাদ হোসেন, মোকসেদুল কামাল ও মেহরাব আলম চৌধুরী। এছাড়া ফাইয়াজুর রহমান মিতু ৪০ ভোট, আদনান রহমান দীপন ৪০, আবুল বাশার শিপলুও ৪০ ভোট করে পেয়েছেন। আর মঞ্জুর আলম ৩৯, এম নাজমুল ইসলাম ৩৭ এবং ইফতিখার রহমান মিঠু ৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত মোট ২৫ পরিচালকের ভোটাভুটিতে সভাপতি ও ২ সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ক্রিকেট বোর্ড নির্বাচন থেকে তামিম ইকবাল, ফাহিম সিনহা, রফিকুল ইসলাম বাবুসহ মোট ১৫ প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় খুব স্বাভাবিকভাবেই ঢাকার ক্লাব কোটা মানে ক্যাটাগরি-২ এর নির্বাচনের আকর্ষণ, উত্তেজনা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক কমে যায়। তারপরও শেষ পর্যন্ত ঢাকার ক্লাব মানে ক্যাটাগরি-২ থেকে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তার মধ্যে ১২ জন নির্বাচিত হন। সেদিক থেকে নামমাত্র নির্বাচন হয় ক্যাটাগরি-১ অর্থাৎ জেলা ও বিভাগে। সেখানে ৭২ ভোটে নির্বাচিত হবেন ১০ পরিচালক। সেখানে নির্বাচন ছাড়াই আটজন আগেই নির্বাচিত হয়ে যান। এই ক্যাটাগরি-১ এ থেকে শুধু রংপুর বিভাগে নির্বাচন হয়। বাকি ছয় বিভাগ মানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালে আর নির্বাচন হবে না। ৫ বিভাগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন যারা : ঢাকা বিভাগ: আমিনুল ইসলাম বুলবুল, নাজমুল আবেদিন ফাহিম, চট্টগ্রাম: আহসান ইকবাল চৌধুরী ও আসিফ আকবর, খুলনা বিভাগ: আব্দুর রাজ্জাক, জুলফিকার আলী খান, সিলেট বিভাগ: রাহাত শামস, বরিশাল বিভাগ: শাখাওয়াত হোসেন।
বিসিবি নির্বাচনে বিজয়ী যারা:
ক্যাটাগরি-১, বিভাগ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা:
ঢাকা বিভাগ: আমিনুল ইসলাম (১৫), নাজমুল আবেদীন (১৫)।
রাজশাহী বিভাগ: মুখলেসুর রহমান (৭)।
রংপুর বিভাগ: হাসানুজ্জামান (৭)
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত :
চট্টগ্রাম বিভাগ বিজয়ী: আহসান ইকবাল চৌধুরী, আসিফ আকবর।
খুলনা বিভাগ: আব্দুর রাজ্জাক, জুলফিকার আলী খান।
সিলেট বিভাগ: রাহাত শামস।
বরিশাল বিভাগ: শাখাওয়াত হোসেন।
ক্যাটাগরি-২: ক্লাব ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি :
ইশতিয়াক সাদেক (৪২), আদনান রহমান দীপন (৪০), ফায়াজুর রহমান (৪০), আবুল বাশার (৪০), আমজাদ হোসেন (৪১), শানিয়ান তানিম (৪২), মোখছেদুল কামাল (৪১), এম. নাজমুল ইসলাম (৩৭), ফারুক আহমেদ (৪২), মনজুর আলম (৩৯), মেহরাব আলম চৌধুরী (৪১) ও ইফতেখার রহমান মিঠু (৩৪)।
ক্যাটাগরি-৩ : বিশেষ সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সার্ভিসেস দল
খালেদ মাসুদ পাইলট (৩৫)।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত পরিচালক : এম. ইসফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।