ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) প্রথম দুই ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও অগ্রনী ব্যাংকের বিপক্ষে রানের খাতা খুলতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। এরপর টানা ৬ ম্যাচে (৬৯, ৫২, ৪৮, ১৪৯*, ৬৮, ১৪৪*) বিজয় দুর্বার, দুর্মনীয়। তাকে থামায় এমন সাধ্য কার? গতকাল বিকেএসপি ৪ নম্বর মাঠে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে একাই গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে জেতালেন বিজয়। দেখিয়ে দিলেন তিনি এখন ফুটছেন টগবগ করে। তাকে থামানোর শক্তি-সামর্থ্য নেই বোলারদের। গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে গাজী গ্রুপের দরকার ছিল ২৮২ রানের। ওপেনার সাদেকুর রহমান (৪৫) ছাড়া সে অর্থে আর কেউ রান পাননি। শামসুর রহমান শুভ (১০), গাজী তাহজিবুল (১৪) আমিনুল বিপ্লব (১০), মোহামেডানের বিপক্ষে ঝড় তোলা তোফায়েল আহমেদ (২৩), গাফফার সাকলাইন (৬) কারো ব্যাট কথা বলেনি। কিন্তু বিজয় দল জেতানো শতক উপহার দিয়ে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। একা একপ্রান্ত আগলে রাখার পাশাপাশি দল জেতানো ওভারপ্রতি প্রয়োজনীয় লক্ষমাত্রাও ছুঁয়ে ফেলেন বিজয়। অধিনায়ক বিজয়ের ব্যাট থেকে ১৪২ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ১৪৪ রানের ইনিংস বেরিয়ে আসলে ৪ উইকেট হাতে রেখে ১০ বল আগে জয় তুলে নেয় গাজী গ্রুপ। এবারের লিগে ৮ ম্যাচে গাজী গ্রুপের ষষ্ঠ জয় এটি। সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে বিজয়ের দল (০.৯৪৯) এখন রানরেটে মোহামেডান (০.৪৯৩) ও অগ্রণী ব্যাংকের (০.৭৩৪) ওপরে থেকে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয়। অন্যদিকে গাজী গ্রুপের কাছে হেরে সপ্তমস্থানে গুলশান ক্লাব। ৮ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট আজিজুল হাকিম তামিমের দলের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: গুলশান ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৮১/৮ (জাওয়াদ আবরার ২১, আজিজুল হাকিম তামিম ৫৩, লিটন দাস ৮৩, ইফতিখার ইফতি ২১, নাইম ইসলাম ১০, আলিফ হাসান ইমন ২৬, ইলিয়াস সানি ৩৮; আব্দুল গাফফার সাকলাইন ২/৫০, আবুল হাশেম ২/৪৬, আমিনুল বিপ্লব ২/৩৪)।
গাজী গ্রুপ: ৪৮.২ ওভারে ২৮৩/৬ (সাদেকুর ৪৫, এনামুল হক বিজয় ১৪৪*, শামসুর রহমান শুভ ১০, গাজী তাহজিবুল ১৪, বিপ্লব ১০, তোফায়েল ২৩; ইলিয়ান সানি ৩/৫৪)।
ফল: গাজী গ্রুপ ৪ উইকেটে জয়ী।