অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে হারল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তৃতীয় ম্যাচে সোহানদের প্রতিপক্ষ পার্থ স্কর্চার্স। দলটির কাছে বাংলাদেশ হারে ৫ উইকেটে। গতকাল ডারউইনে একাদশে এক পরিবর্তন নিয়ে সাঠে নামে বাংলাদেশ। ডানহাতি পেসার রিপন মণ্ডলের জায়গা দলে পান ডানহাতি স্পিনার নাইম হাসান। এর আগে শনিবার নেপালের বিপক্ষে ৩২ রানের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এটি ছিল লাল-সবুজ দলের প্রথম জয়। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান ‘এ’ দলের (শাহিনস) কাছে ৭৯ রানে হেরেছিল সোহানরা। প্রথম দুই ম্যাচেই রান পেয়েছিলেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা। তবে গতকাল পার্থ স্কচার্সের বিপক্ষে ব্যর্থ বাংলাদেশ ‘এ’ দলের টপ অর্ডার। এদিন ব্যাতিক্রম ছিলেন কেবল আফিফ হোসেন। তার ব্যাটে ভর করেই একশ পেরোনো সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেটা সহজেই পেরিয়ে গেছে পার্থ। ডারউইনে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। অপরাজিত ৪২ রান করেছেন আফিফ। এ ছাড়া ১৬ রান করেছেন রাকিবুল। জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পার্থ। অল্প পুঁজি নিয়েও বোলাররা ভালোই লড়াই করেছেন। নতুন বলে হাসান মাহমুদ দারুণ বোলিং করেছেন। ইনিংসের দ্বিতীয় অভারেই ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন এই পেসার। এ ছাড়া রাকিবুল হাসানও ভালো বোলিং করেছেন। তাতে দলীয় ফিফটির আগেই ৩ উইকেট হারিয়েছিল পার্থ। তবে নতুন বলে ভালো শুরুর সেই ধারা অব্যহত রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। মিডল অর্ডারে জুয়েল কোর্ডিস পথ দেখিয়েছেন পার্থকে। তার অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংসে ১২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিক দলটি। এর আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা নাঈম শেখও সেই বৃত্ত ভাঙতে পারেননি। এক বাউন্ডারিতে ৬ বলে ৫ রান করেছেন এই ওপেনার। তার বিদায়ে ভাঙে ৯ রানের উদ্বোঢনী জুটি। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জিশানও ব্যর্থ। ১৩ বলে ৯ রান করেছেন। তিনে নেমে ১ রানে ফিরেছেন সাইফ হাসান। তাতে ২৫ রানেই টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে দল। সেখান থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছেন আফিফ হোসেন। তবে কেউই তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি।
মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন-নুরুল হাসান সোহানরা চেষ্টা করেছেন উইকেটে থিতু হওয়ার। তবে কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। এক প্রান্ত আগলে রেখে আফিফ হোসেন অপরাজিত ৪২ রান করলে একশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।