জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনার কাছে হেরেছে ঢাকা মেট্রো। এটা দলটির দ্বিতীয় হার। আর খুলনার প্রথম জয়। গতকাল ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে দ্যুতি ছড়িয়েছেন এনামুল হক বিজয়। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাটিং করে রান পেয়েছেন সৌম্য সরকারও। এছাড়া আফিফ ও ইমরান রেখেছেন অবদান। চারজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতীয় ক্রিকেট লিগে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ৫ উইকেটে ১৭১ রান করে খুলনা বিভাগ। জবাব দিতে নেমে ঢাকা মেট্রো ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৫৯ রানে। ২২ রানে জয় পায় খুলনা বিভাগ। ঢাকা মেট্রো পরপর দুদিন দুই ম্যাচ হারল। খুলনার তৃতীয় ম্যাচে এটি প্রথম জয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার শুরুটা ছিল দারুন। দুই ওপেনার ৮.৫ ওভারে ৭১ রান যোগ করেন। তবে ১৪ রানের ব্যবধানে দুজনই ফেরেন সাজঘরে। ইমরানুজ্জামান ৩০ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৬ রান করেন। সৌম্য সরকার টানা দ্বিতীয় ফিফটির অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু ৪৫ রানে তাকে থামতে হয় রান আউটে। ৩৩ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান সৌম্য। এরপর এনামুল ও আসিফের ব্যাটে ভর করে খুলনা ১৭১ রানের পুঁজি পায়। ২৬ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৯ রান করেন এনামুল। এক রানের জন্য তার ফিফটি মিস হলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। আফিফ ২৫ বলে ৩৩ রান করেন ৩টি চার ও ১ ছক্কায়। ঢাকা মেট্রোর হয়ে আবু হায়দার রনি দুই উইকেট নেন ৪৩ রান দিয়ে। জবাব দিতে নেমে নাঈম শেখ ও আনিসুল ইসলাম বাদে কেউই ভালো করতে পারেননি। নাঈম দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ বলে ৩৩ রান করেন। আনিসুল দুইটি করে চার ও ছক্কায় ২৮ রান করেন। ২২ রান আসে শামসুর রহমান শুভর ব্যাট থেকে। বাকিরা কেউ বিশের ঘর পেরোতে পারেননি। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী বোলিংয়ে ২২ রানে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন পারভেজ জীবন। দলের ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় মনে করেন, নিয়মিত খেলার সুযোগ না পেলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করা কঠিন। জাতীয় ক্রিকেট লিগ এনসিএল চলাকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিজয়। নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আসলাম, একটা টুর্নামেন্ট খেললাম, ৩ ম্যাচ বা ২ ম্যাচের সিরিজ বা এশিয়া কাপে এক ম্যাচ খেললাম- এরকম খেললে, আসলে-গেলে, ড্রেসিংরুমে না থাকলে অনেক সময় পারফর্ম করা সহজ হয় না। বিজয় মনে করেন, দলে জায়গা ধরে রাখতে হলে খেলোয়াড়দের নিয়মিত সুযোগ পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন পরপর সুযোগ পাওয়া, কিংবা সিরিজে এক বা দুই ম্যাচ খেলে বাদ পড়ে যাওয়া খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশের মতো প্রতিযোগিতাপূর্ণ দলে জায়গা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জিং। তবুও বিজয়ের মতে, নিয়মিত খেলার সুযোগ থাকলে যে কোনো ক্রিকেটার নিজের সেরা পারফরম্যান্স তুলে ধরতে পারেন। বিজয় আরও বলেন, দলের সঙ্গে থাকা এবং ড্রেসিংরুমের পরিবেশে থাকার মাধ্যমে একজন ক্রিকেটার মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন, যা মাঠে তার পারফরম্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।