টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে লিটন দাসের পথচলা শুরু হলো আত্মবিশ্বাসী এক জয় দিয়ে। যে ম্যাচে তরুণ পারভেজ ইমনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ তুলে নেয় সহজ জয়। স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯২ রানে লক্ষ্য দিয়ে সফরকারীরা তাদের ১৬৪ রানেই আটকে দিয়েছে। ২৭ রানের এই জয়ে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে লিড নিলো লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন টাইগাররা। তবে জয়ের উৎসবের মাঝে লিটনের কণ্ঠে ঝরেছে শেষদিকে রান না পাওয়ার কিছুটা আক্ষেপও।

ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটন দাস বলেন, ‘উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালোই মনে হয়েছে। তবে আমাদের ভালোভাবে শেষ করতে হতো। শেষ তিন উইকেটে আমরা তেমন রান তুলতে পারিনি।’ জয়ের আগে অবশ্য আমিরাত তাদের ঠিক কক্ষপথেই ছিল। সেই সময় কিছুটা হলেও উদ্বেগে পড়তে হয়েছে লিটনকে। যার জন্য আমিরাতের ব্যাটারদের কৃতিত্ব দিয়ে লিটন বলেন, ‘বোলারদের আমি চিনি। তারা যেকোনো সময় ম্যাচে ফিরতে পারে। তবে একইসঙ্গে স্বীকার করতেই হবে যে আমিরাতের ব্যাটাররা সত্যিই ভালো খেলেছে। বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে যেভাবে ব্যাট করেছে, তার জন্য কৃতিত্ব তাদেরই প্রাপ্ত। ইমনকেও প্রশংসায় ভাসালেন অধিনায়ক লিটন দাস, ‘ব্যাট করার জন্য উইকেট ভালো মনে হয়েছিল। যেভাবে ইমন খেলেছে, সেটা দেখা সত্যিই চমৎকার।’ তবে অন্যদের ব্যর্থতার হতাশা লুকাননি ম্যাচে মাত্র ১১ রান করা এই ব্যাটার, ‘কিন্তু আমাদের ভালোভাবে শেষ করতে হতো, কারণ শেষ তিন উইকেটে আমরা ওতো বেশি রান করতে পারিনি।’বাংলাদেশ-আমিরাতের প্রথম টি-টো টি-য়েন্টিতে গ্যালারিতে দর্শকদের উপস্থিতি খুব বেশি না হলেও, টাইগারদের পক্ষে আওয়াজটা ছিল উল্লেখযোগ্য। এ নিয়ে লিটন বলেন, ‘আমরা যেখানেই খেলি না কেন, আমাদের সমর্থকরা আসে এবং খেলা উপভোগ করে। তাদের এই সমর্থনও সত্যিই অসাধারণ।’ এর আগে শারজাহতে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। সেই খরা ঘুচেছে গতকাল। আগে ব্যাট করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমন টাইগারদের হয়ে টি-টোয়েন্টির দ্রুততম সেঞ্চুরি করেন। তামিম ইকবালের পর ফরম্যাটটিতে তিনি দেশের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান। যাতে ভর করে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৯১ রান তোলে। লক্ষ্য তাড়ায় ওয়াসিমের ৫৪, আসিফ খানের ৪২ ও রাহুল চোপড়ার ৩৫ রানের পর আমিরাতের ইনিংস থামে ১৬৪ রানে। টাইগারদের পক্ষে হাসান মাহমুদ সর্বোচ্চ ৩টি এবং তানজিম সাকিব, শেখ মেহেদী ও মুস্তাফিজুর রহমান ২টি করে উইকেট শিকার করেন।