শেষ বলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে নামিবিয়া। বলা চলে পূর্ণ শক্তির একাদশ ছাড়াই টি-টোয়েন্টিতে নেমেছিল প্রোটিয়ারা। আর দুই দলের প্রথম দেখায় কুইন্টন ডি কক-রেজা হেন্ড্রিকসদের আফ্রিকা শেষ বলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হেরে গেছে। নামিবিয়া ক্রিকেট গ্রাউন্ডেশনিবার সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়ারা ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তোলে। জবাব দিতে নেমে ২ বল বাকি থাকতেই স্কোর সমান করে ফেলে নামিবিয়া। এরপর এক বল ডট দিয়ে মঞ্চস্থ হয় চূড়ান্ত নাটকীয়তা। শেষ বলে চার হাঁকিয়ে জ্যান গ্রিন ৪ উইকেটে নামিবিয়ার ঐতিহাসিক জয় নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে চতুর্থ পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে নামিবিয়ার কাছে হারল আফ্রিকানরা (একই অভিজ্ঞতা আছে আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার)। দক্ষিণ আফ্রিকাও এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনো আইসিসির সহযোগী দেশের বিপক্ষে ফরম্যাটটিতে হারল। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের ১৩ রানে হারিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দোনোভান পেরেরার নেতৃত্বাধীন দল প্রথম উইকেট হারায় মাত্র ৪ রানে। ৪ বলে ১ রান করা ডি কককে দিয়ে শুরু। অবসর ভেঙে তিনি কিছুদিন আগে টি-টোয়েন্টিতে ফিরেছিলেন। এরপর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রায় নিয়মিত রেজা হেন্ড্রিকসও ফেরেন ৭ রান করে। কেউই সেভাবে বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারছিলেন না। রুবিন হারম্যান ১৮ বলে ২৩ এবং লুয়ান-দ্রে প্রিটোরিয়াস ২২ বলে সমান ২২ রান করে বিদায় নেন। প্রোটিয়াদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংস খেলেছেন জেসন স্মিথ। এ ছাড়া বর্ন ফরচুইন ১৯ রান করলে ১৩৪ রানের পুঁজি দাঁড়ায় তাদের স্কোরবোর্ডে। স্বাগতিক নামিবিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন রুবেন ট্রাম্পেলম্যান। ম্যাক্স হেইনো নেন ২ উইকেট। জবাব দিতে নেমে ঝোড়ো শুরুই পায় নামিবিয়া। তবে ২২ ও ২৮ রানে দুটি উইকেট হারিয়ে ফের চাপের মুখে পড়ে। ছোট ছোট ইনিংসে সেই বিপদ সামলেছেন কয়েকজন মিলে। অধিনায়ক গেরহার্ড ইরাসমাস দলকে কিছুক্ষণ টেনে নেন ৩ চারে ২১ রান করে। এরপর জেজে স্মিত (১ চারে ১৩) ও মালান ক্রুগারও (১ ছক্কায় ১৮) টিকতে পারেননি। গ্রিন ও ট্রাম্পেলম্যান ত্রাণকর্তা হয়ে ৩৭ রানের জুটিতে জয় নিশ্চিত করেছেন। শেষ ওভারে ১০ রান প্রয়োজন ছিল তাদের। অ্যান্ডাইল সিমেলেনের প্রথম বলেই ছয় হাঁকিয়ে পথ সহজ করেন গ্রিন। তবে শেষ পর্যন্ত নাটকীয়তা করেই তাদের জিততে হলো। চতুর্থ বলে স্কোর লেভেল হওয়ার পর শেষ বলে চার মেরে গ্রিনের ব্যাটেই এলো নামিবিয়ার ইতিহাসগড়া জয়। ২৩ বলে তার ব্যাট থেকেই আসে সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস। প্রোটিয়াদের পক্ষে নান্দ্রে বার্গার ও সিমেলেনে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন। প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করে নামিবিয়ার মাঠও সাক্ষী হলো ইতিহাসের।
ক্রিকেট
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নামিবিয়ার ইতিহাস
শেষ বলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে নামিবিয়া। বলা চলে পূর্ণ শক্তির একাদশ ছাড়াই টি-টোয়েন্টিতে নেমেছিল প্রোটিয়ারা। আর দুই দলের প্রথম দেখায় কুইন্টন ডি কক-রেজা হেন্ড্রিকসদের আফ্রিকা শেষ বলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হেরে গেছে। নামিবিয়া ক্রিকেট গ্রাউন্ডেশনিবার সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে আগে
Printed Edition
