এবার মিরপুরের পিচকে অসন্তোষজনক বললেন খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম। তবে বোর্ডের পক্ষ থেকে এই ধরনের পিচ তৈরি করার নির্দেশনা কখনও দেওয়া হয়নি এমন দাবিও করেন তিনি। সম্প্রতি মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে টাইগারদের এই অর্জন অনেকটাই ম্লান হয়ে যায় পিচ নিয়ে সমালোচনায়। পাকিস্তানের কোচ, অধিনায়ক-কেউই বাদ যাননি পিচ নিয়ে কটু কথা বলতে। তখন অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটবোদ্ধা কিংবা ক্রিকেটারদের অনেকে পিচের হয়ে সাফাই গান। তারা বলেন, ওত বেশি সমালোচনা করার মতো পিচ ছিল না। বরং পাকিস্তানি ব্যাটাররাই মানিয়ে নিতে পারেননি। মিরপুরের পিচ নিয়ে সমালোচনা চলছে অনেক দিন ধরে। ধীরগতির ও বল নিচু হয়ে যাওয়ার জন্য বেশ ‘দুর্নাম’ আছে এই পিচের। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কারো কারো মুখ থেকেই শোনা গেছে, মিরপুরে খেললে ব্যাটারের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে। ১৪ মাস পর মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। বিরতির পরও অবশ্য হোম অব ক্রিকেটে পিচের আচরণ বদলায়নি। লো স্কোরিং উইকেট ছিল প্রথম দুই ম্যাচে। সেই দুটিতে জিতে বাংলাদেশ সিরিজ শেষ করে ২-১ ব্যবধানে। সিরিজ জিতলেও আলোচনায় ছিল মিরপুর শের-ই বাংলার উইকেট। যা নিয়ে এবার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম। চট্টগ্রামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফাহিম বলেন, ‘আমি মনে করি একটি স্পোর্টিং উইকেট তৈরির চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু তা সফল হয়নি। এর দায়িত্ব তাদের ওপরই বর্তায়, যারা উইকেট তৈরি করে। কারণ আমাদের পক্ষ থেকে, বোর্ডের পক্ষ থেকে কখনো বলা হয়নি যে উইকেটকে লো অ্যান্ড স্লো করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি যখনই আমরা ভালো, বাউন্সি উইকেট চেয়েছি, তখন সেটি আমরা পাইনি। এর জন্য সাধারণত যে কারণগুলো দেখানো হয়, তা হলো মাটির প্রকৃতি, পরিবেশ কিংবা পিচে অতিরিক্ত ম্যাচ খেলা হয়ে যাওয়া।’ ‘সার্বিকভাবে মিরপুরের উইকেট সন্তোষজনক নয়, এটা আমরা সবাই স্বীকার করি। এ বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সম্ভবত পুরো মাটির স্তরটাই সরাতে হবে, অথবা পিচ তৈরির প্রক্রিয়া বদলাতে হবে। আমি আশা করি, শিগগিরই কিছু পরিবর্তন আসবে এবং আমরা মিরপুরে আরও ভালো উইকেট দেখতে পাবো’-আশা ফাহিমের। সম্প্রতি বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও মিরপুরের পিচ নিয়ে সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, পিচ তৈরিতে ব্যবহৃত কালো মাটির কারণে ব্যাটারদের বল দেখতে সমস্যা হয়। ফাহিমও তার সেই মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, ‘উইকেটে যদি ঘাস থাকতো, তাহলে বলের রঙ এতটা নষ্ট হতো না। যেহেতু প্রাকৃতিক ঘাস নেই, বল যখন মাটির সঙ্গে ঘষা খায়, তখন সেটি মাটির রঙ শোষণ করে নেয়। একপর্যায়ে বল আর সাদা থাকে না, বরং কালচে হয়ে যায়। এতে ব্যাটারদের বল দেখা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এটি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্ট সঠিক পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং সঠিক মন্তব্যই দিয়েছেন।’ মিরপুরের চিরাচরিত কালো মাটির উইকেট নিয়েও চিন্তার কথা বললেন বিসিবির এই পরিচালক, ‘চিন্তার জায়গা অবশ্যই। উইকেটে ঘাস থাকলে বলের খুব ক্ষতি হতো না। মাটিতে বলের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে তখন বলও মাটির রং-ই ধারণ করে। বলের মধ্যেও একটু কালচে দাগ চলে আসে। সেটা একটা ফ্যাক্টর অবশ্যই। সঠিক মন্তব্য করেছেন আমাদের বোর্ড সভাপতি (আমিনুল ইসলাম বুলবুল)।’
ক্রিকেট
এবার মিরপুরের পিচকে অসন্তোষজনক বললেন ফাহিম
এবার মিরপুরের পিচকে অসন্তোষজনক বললেন খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম। তবে বোর্ডের পক্ষ থেকে এই ধরনের পিচ তৈরি করার নির্দেশনা কখনও
Printed Edition
