বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিসিবির নবনির্বাচিত কমিটির পরিচালকরা। নতুন পরিচালকদের প্রথম সভা শেষে ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছিলেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে পরবর্তী বিপিএল আয়োজন করা হতে পারে। এবারের বিপিএলকে আকর্ষণীয় করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

যা আগের বিপিএলগুলোতে দেখা যায়নি। চলতি বছরের ডিসেম্বরে বিপিএল আয়োজনের ব্যাপারে এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকেও সবুজ সংকেত পেয়েছে বিসিবি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও জাতীয় নির্বাচন থাকায় বিপিএলের জন্য এক মাসের উইন্ডো পাচ্ছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। হাতে খুব বেশি সময় না থাকায় পাঁচ দল কিংবা সর্বোচ্চ ছয় দল নিয়ে বিপিএল করতে চায় বিসিবি। এদিকে বিসিবির সহসভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, আগামী ১৭ নভেম্বর বিপিএলের আগামী আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বিপিএলে প্রথমবারের মতো ভেন্যু বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে বিসিবি। এরই মধ্যে রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের দুটি স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছে ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ। এবারের বিপিএলে থেকে প্রতিটি টুর্নামেন্টের টিভি সম্প্রচার স্বত্ব, গ্রাউন্ডস স্বত্ব, টিকিট বিক্রির লভ্যাংশ থেকে মোট লাভের ৩০ শতাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে ভাগাভাগি করবে বোর্ড। একই সঙ্গে মাঠের প্যারিমিটার বোর্ডেও প্রতিটি ম্যাচে ১৫ মিনিট করে মোট ৩০ মিনিট ভাগ করে দেওয়া হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। এ সময় ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকরা নিজেদের প্রচার চালাতে পারবেন। এদিকে, আসন্ন বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ধরা হচ্ছে ২ কোটি টাকা। আগামী পাঁচ মৌসুমের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি পেলেও প্রতি বছর ১৫ শতাংশ হারে বাড়বে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি। অর্থাৎ পরের বছর সেটা দাঁড়াবে ২ কোটি ৩০ লাখ এভাবেই প্রতি বছর বাড়তে থাকবে। তবে দল পেতে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ব্যাংক গ্যারান্টি বাবদ জমা দিতে হবে ১০ কোটি টাকা; যা ছয় মাস থাকবে বোর্ডের কাছে।