শেষ ব্যাটার মোহাম্মদ সিরাজ বলটা ডিফেন্ড করেছিলেন। সেটি গড়িয়ে গড়িয়ে গিয়ে লাগলো স্টাম্প। পড়ে গেলো বেল। উচ্ছ্বাসে তো তখন ফেটে পড়ে পুরো ইংলিশ শিবির আর গ্যালারি। লর্ডস টেস্টে শেষ সেশনে এসে ২২ রানের রুদ্ধশ্বাস এক জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। ভারতের প্রতিরোধ ভেঙে পাওয়া এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বেন স্টোকসের দল।ভারতের তখন জয়ের জন্য দরকার ৬৮ রান। হাতে ২ উইকেট। ক্রিস ওকসের বল রবীন্দ্র জাদেজার প্যাডে লাগলে আঙুল তুলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত। ভারতের শেষ ভরসাও আউট, সহজেই জিতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড? না, হিসেবটা এত সহজ ছিল না। রিভিউ নেন জাদেজা। দেখা যায়, বল লাইনের বাইরে পড়েছে। ওই জাদেজাই নবম উইকেটে জাসপ্রিত বুমরাহকে নিয়ে কাটিয়ে দেন ১৩২ বল! যোগ করেন ৩৫ রান। লর্ডসে তখন দুই দলের সমর্থকদেরই বুক ধুঁকপুক। অবশেষে এই জুটি ভেঙে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। ধৈর্য হারিয়ে পুল শট খেলতে যান বুমরাহ, মিডঅনে দেন ক্যাচ। তখনও ভারতের জয়ের জন্য দরকার ৪৬ রান। কিন্তু জাদেজা হাল ছাড়েননি। দশম উইকেটে সিরাজকে নিয়ে আরও ৮০ বল কাটিয়ে দিয়েছেন। দলকে নিয়ে এসেছিলেন জয়ের কাছাকাছি। হলো না। ১৮১ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৬১ রানে অপরাজিত থেকে যান জাদেজা। লক্ষ্য ছিল মোটে ১৯৩ রানের। কিন্তু আগের দিনই ৫৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে ছিল ভারত। ভারতের জন্য বাকি ১৩৫ রান করা কঠিন হবে, অনুমান করা যাচ্ছিল আগেই। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। পারলো না ভারত। ৪ উইকেটে ৫৮ রান নিয়ে খেলতে ভারত থামলো ১৭০ রানে। লর্ডস টেস্টে প্রথম ইনিংসে কাকতালীয়ভাবে দুই দলই করেছিল ৩৮৭। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯২ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ভারত থামলো ১৭০ রানে।