বাংলাদেশে হয়ে সর্বোচ্চ ৯৯ টেস্ট খেলে শততম টেস্ট খেলার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে মুশফিকুর রহিম। আগামীকাল শেরে বাংলায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচে মাঠে তার শততম টেস্ট পূর্ণ হবে। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এ অসামান্য কৃতিত্বের অধিকারী হবেন মুশফিক। বিভিন্ন সময়ে টেস্ট খেলা ক্রিকেটারের সংখ্যা হয়তো হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ৮৩ জন শুধু ১০০ টেস্ট খেলতে পেরেছেন। মুশফিক হবেন ১০০ টেস্ট খেলা ৮৪ নম্বর ক্রিকেটার। মুশফিকুর রহিমের সমসাময়িক বা তার আগে-পরে অনেক ক্রিকেটারই খেলেছেন। কেউই ১০০ টেস্টের মাইলফলক ছুঁতে পারেননি। নিকট ভবিষ্যতে কারো পারার সম্ভাবনাও নেই। কারণ, বর্তমানে টেস্ট খেলতে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বাধিক ৭৩ ম্যাচ খেলেছেন মুমিনুল হক। মেহেদী হাসান মিরাজের টেস্ট সংখ্যা ৫৪। লিটন দাস খেলেছেন ৫০ টেস্ট। সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মুশফিক খেলেছেন ৯৯তম টেস্ট। আগামীকাল ঢাকায় খেলবেন শততম টেস্ট। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে সিলেটে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল আয়ারল্যান্ড। এবার শেষ টেস্টে মিরপুর শেরে-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ঘুরে দাঁড়াতে মুখিয়ে আছে আইরিশরা। আর এই টেস্ট ম্যাচটি মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট।

এ উপলক্ষে মুশফিককে অভিনন্দন জানিয়েছেন আইরিশ কোচ হেনরিখ মালান। গতকাল মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে মালান বলেন, 'দেশের জন্য ১০০টি টেস্ট ম্যাচ খেলা একটি বিশাল অর্জন। আমরা মাত্র ১০টি টেস্ট খেলেছি। তাই, এটা ধৈর্যের একটা চিত্র তুলে ধরে। এর পেছনে অনেক কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। আপনি যদি যোগ করেন, তাহলে প্রায় চার-পাঁচশ ওয়ার্ম-আপ হবে যা সে এই সময়ে করেছে। তাই, আমাদের জন্য এটাই বোঝা যে টেস্ট ক্রিকেট একটা কঠোর পরিশ্রমের খেলা, এবং আশা করি এই পাঁচ দিন সে ভালো না খেলুক, তবে ১০০তম টেস্ট খেলার জন্য তাকে অভিনন্দন।' মুশফিকের পেশাদারিত্ব নিয়ে আয়ারল্যান্ডের কোচ বলেন, 'আমি মনে করি তার পেশাদারিত্ব (এতদিন ধরে খেলে আসার কারণ)।

আমি ভোরে উঠি এবং প্রতিদিন সকালে হোটেলে তাকে সকাল ৬:৪৫ টায় নাস্তা করতে দেখি। তারপর সে সবার আগে বাসে ওঠে, মাঠে যায় এবং অন্য খেলোয়াড়রা আসার আগেই সে তার ওয়ার্ম-আপ, স্ট্রেচিং এবং ব্যাটিং অনুশীলন করে। আমার মনে হয় আপনি যদি ধারাবাহিকভাবে এমন সময় দেন যখন আলো নেই, তবে আলো জ্বলে উঠলে পারফর্ম করার মতো পুঁজি আপনার থাকে, যা সে সময়ের সাথে প্রমাণ করেছে।'