জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা শুরু হতে যাচ্ছে টাইগারদের। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ৫ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর আবারও সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হকরা। অবশ্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি বাংলাদেশ দলের। আইসিসির ইভেন্ট থেকে ফেরার পর জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলছেন।
দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে আগামী ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে। প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২০ এপ্রিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, আর দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের মাটিতে খেলা সবশেষ টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। এবারও সেই ধারা অব্যাহত রাখবে লাল-সবুজের দল, এমনটাই চাওয়া সমর্থকদের। এই সিরিজ ঘিরে সিলেটে দিন দশেকের অনুশীলন ক্যাম্প করার কথা ছিল বাংলাদেশের। যদিও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের কারণে সেটা পিছিয়ে নেয়া হয় ১২ এপ্রিল। পরবর্তীতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের ভাবনায় একদিন পর গতকাল থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে সপ্তাহখানেকের প্রস্তুতি ক্যাম্প। সিলেটে ক্যাম্পের প্রথম দিনে ছিলেন টেস্ট স্কোয়াডে থাকা ১০ ক্রিকেটার। টাইগারদের প্রথম দিনের ক্যাম্পে সকালে সিলেটে দেখা গিয়েছে অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, নাহিদ রানা, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, জাকির হাসান এবং হাসান মাহমুদকে। কোচিং স্টাফদের মধ্যে প্রধান কোচ ফিল সিমন্স, সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সহ কোচিং প্যানেলের সবাই রয়েছেন এই ক্যাম্পে। কদিন আগেই বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জেমস প্যামেন্ট। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে বছর সাতেক কাজ করা নিউজিল্যান্ডের এই কোচও যোগ দিয়েছেন অনুশীলন ক্যাম্পের প্রথম দিনেই। ডিপিএলের গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডের ম্যাচের জন্য প্রথম দিনের ক্যাম্পে যোগ দিতে পারেননি বাকি ৫ ক্রিকেটার।
যেখানে রয়েছেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের মাহমুদুল হাসান জয়, জাকের আলী অনিক, তানজিম হাসান সাকিব ও অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের সাদমান ইসলাম ও নাঈম হাসান। তবে ম্যাচ শেষ করে আজ রাতেই ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ থেকে পুরোদমে অনুশীলন শুরু করবে শান্তরা। তবে আসন্ন এই সিরিজ কোন চ্যানেলে সম্প্রচার করা হবে সেটা এখনও নিশ্চিত হয়নি। সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব এখনো কোনো চ্যানেলের কাছে বিক্রি করতে পারেনি বিসিবি। গত ১৯ মার্চ বিসিবি এই সিরিজের জন্য আগ্রহপত্র (ইওআই) আহবান করে। আগ্রহপত্র জমার শেষ তারিখ ছিল ৭ এপ্রিল। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও আগ্রহ দেখায়নি কেউ! বাস্তবতা হচ্ছে এই সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই প্রস্তাব দেয়নি। আইপিএল, পিএসএলের মতো বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের ভিড়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজ সম্প্রচারে শঙ্কা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের হোম সিরিজগুলো মিলেনিয়াম মিডিয়া কনসোর্টিয়াম নামে এক কোম্পানির মাধ্যমে টিভিতে সম্প্রচার হয়েছে টি স্পোর্টস ও জিটিভিতে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত বছরের অক্টোবরে শেষ হয়েছে সেই চুক্তির মেয়াদ। এরপর নতুন করে তাদের সঙ্গে কিংবা নতুন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়নি। তবে সিরিজ সম্প্রচার নিশ্চিত না হলেও অনুশীলন শুরু করতে তো বাধা নেই।