পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। ফলে বাংলাদেশের বিশ্বকাপে খেলার ভাগ্য নির্ভর করছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং থাইল্যান্ডের ম্যাচের ওপর। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ছিল কঠিন সমীকরণ। কেননা তাদের ১০.১ ওভারেই থাইল্যান্ডের ১৬৭ রান তাড়া করতে হতো।
আরেকটা সমীকরণ ছিল, স্কোর সমান করার পর চার মেরে জিতলে ১০.৪ ওভারে জিতলে হবে। আর স্কোর সমান হওয়ার পর ছক্কা মেরে জিতলে ১১ ওভারে জয় পেলেও বিশ্বকাপে খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সেই লক্ষ্যপূরণের একদম কাছে গিয়েও পারেনি ক্যারিবীয়রা। ছক্কা মেরেই তারা ম্যাচ শেষ করেছে। জিতেছে ১০.৫ ওভারে। কিন্তু সমীকরণ মেলানোর জন্য ম্যাচে স্কোর সমান করে চার বা ছক্কা মারার যে হিসেব ছিল, সেটি মেলাতে পারেনি। ফলে, জিতেও বিশ্বকাপে জায়গা হয়নি ক্যারিবীয়দের। কারণ ম্যাচ শেষে তাদের রান রেট দাঁড়ায় +০.৬৩, যেখানে বাংলাদেশের রান রেট +০.৬৪। মাত্র ০.০১ পয়েন্টের ব্যবধানে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।
নাটকীয় সমীকরণে শেষ হাসি হাসে লাল-সবুজের মেয়েরা।
অন্যদিকে, থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বড় জয়ও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। থাইল্যান্ডের ইনিংসে নাথাকান ছানথামের ৬৬ রানের লড়াকু ইনিংসে তারা সংগ্রহ করে ১৬৬ রান। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ জানতো, শুধু জয় নয়—জয়টা হতে হবে অসাধারণ।
শেষ পর্যন্ত জয় পেলেও তীব্র রান রেটের লড়াইয়ে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলতে পারেনি ক্যারিবীয়রা।
এখন নারীদের বিশ্বকাপের আসর বসবে ভারতে। যে আসরে বাছাইপর্ব পেরিয়ে পাকিস্তানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী দল।