তারুণ্য উৎসবের ব্যানারে দেশব্যাপী জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ১৮ কোটি টাকা বাজেটের এই টুর্নামেন্ট দিয়ে সারা দেশে ফুটবল উন্মাদনা জাগানোই মূল লক্ষ্য। এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে ৩০ আগস্ট থেকে। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় এর বিস্তারিত। টুর্নামেন্টের জন্য সরকার থেকে প্রথম প্রস্থে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চূড়ান্ত হয়েছে। দ্বিতীয় প্রস্থে আরও ৫ কোটি পাবে বাফুফে। তবে দেশব্যাপী তারুণ্য উৎসবের ব্যানারে মোট তিনটি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের জন্য বাফুফে ১৮ কোটি টাকার একটা খসড়া বাজেট করেছে। বাকি ৮ কোটি টাকা বাফুফে নিজেরাই সংগ্রহ করবে। ৩০ আগস্ট মুন্সিগঞ্জে স্বাগতিক জেলা ও জামালপুরের ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। যেখানে অংশ নিচ্ছে ৬৪ জেলা দল।

আটটি পটে বিভক্ত করা হয়েছে জেলাগুলোকে। প্রতিটি পটের নামকরণ করা হয়েছে জুলাই শহীদদের নামানুসারে। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই রাউন্ড হবে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে। অর্থাৎ ৬৪ থেকে ৩২, এরপর ৩২ থেকে তৃতীয় পর্বে নেমে ১৬টি দল। এই ১৬ দল নিয়ে শুরু হবে নকআউট পর্ব। এভাবেই ১৬ থেকে আট, এরপর চার দলের সেমিফাইনাল এবং সেরা দুই দল নিয়ে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। যে ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন্সের (এএফসি) সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা।

টুর্নামেন্ট আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী (হ্যাপি) জানান, ‘এই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে জেলায় ফুটবল নিয়ে একটা উন্মাদনা শুরু হবে। সিনিয়রদের আসর চলা অবস্থায় বাফুফে অনূর্ধ্ব-১৭ পুরুষ ও নারী চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করবে।’ এই তিনটি আসরের সফল সমাপ্তির মধ্য দিয়ে তৃণমূল থেকে ভালো মানের প্রতিভাবান ফুটবলার বাছাই সম্ভব হবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। টুর্নামেন্টের লোগো ও সূচি উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব-উল-আলম। তিনিও বিশ্বাস করেন সরকার ও বাফুফের এই যৌথ উদ্যোগ তরুণ সমাজে একটা উন্মাদনা সৃষ্টি হবে, ‘ফুটবল এমন একটা খেলা যার মাধ্যমে খুব সহজেই যুব সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।

গত বছর সরকার তারুণ্যের উৎসব করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিল। এবারও তাই আমরা এই আয়োজন করতে যাচ্ছি। আমি বেশ কয়েকবার ৬৪ জেলার প্রশাসকের সঙ্গে সভা করেছি, যাতে ভালোভাবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায়। নারী ফুটবলাররা নিয়মিত সাফল্য এনে দিচ্ছে দেশকে। আমি মনে করি এই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে আরও অনেক বেশি প্রতিভাবান ফুটবলার তৃণমূল থেকে খুঁজে পাবো।’ ক্রীড়া সচিব আরও জানিয়েছেন, তারুণ্যের উৎসবের ব্যানারে ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য ক্রীড়া ফেডারেশনকেও সরকার সহায়তা দেবে।