এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা থাকায় আগের ম্যাচে খেলা হয়নি মেসির। তা নিয়ে কম ক্ষোভ ছিল না তার। ফেরার ম্যাচে সেই ক্ষোভ প্রশমিত করতে নিজের সবটা নিংড়ে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। দুই অ্যাসিস্টে নাটকীয় এক জয় নিশ্চিত করেছে ইন্টার মায়ামি। অ্যাটলাসকে হারিয়েছে ২-১ গোলে। শেষ দিকে তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে যোগ হওয়া সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে বক্সের ৬ গজের মধ্যে পাস দিয়েছিলেন মেসি। সেই পাস পেয়ে আর কোনও ভুল করেননি মার্সেলো ভেইগান্ট। তার গোলেই শেষ দিকে এসে জয় পেয়েছে মায়ামি। অবশ্য শুরুতে এই গোলটিকে অফসাইডের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রেফারি। তার পর ভার রিভিউতে গোল নিশ্চিত হলে বুনো উল্লাস শুরু হয় চেজ স্টেডিয়ামে। ম্যাচের শুরুর গোলটি পেয়েছে মায়ামি। ৫৭ মিনিটে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের বানিয়ে দেওয়া পাস থেকে জাল কাঁপান তেলাসকো সেগোভিয়া। শুরুতে সের্হিও বুসকেৎজের কাছ থেকে থ্রু বল পেয়েছিলেন কাতার বিশ্বকাপ জয়ী। সেখান থেকে পাস দিলে ঠা-া মাথায় গোলটি করেন সেগোভিয়া। শেষ দিকে যখন ম্যাচটা পরিণতির দিকে, সেটা জমিয়ে তোলার চেষ্টা করে অ্যাটলাস। ৮০ মিনিটে লুজ বল থেকে রিভালদো লোজানোর গোলে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। পরে অবশ্য মেসির জাদুকরী মুহূর্তই ম্যাচের ফল বদলে দিয়েছে। তাতে বোঝা যাচ্ছে চলতি মৌসুমে তার প্রভাব কতটা। এখন পর্যন্ত জুলাইয়ে ৫টি অ্যাসিস্টের পাশাপাশি ৮টি গোল করেছেন। তাতে প্লেয়ার অব দ্য মান্থের খেতাবটিও পেয়েছেন তিনি। নাটকীয় জয়ের ম্যাচে আবার নিউ সাইনিং রদ্রিগো দে পলের অভিষেকও হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে এফসি সিনসিনাটির বিপক্ষে খেলতে পারেননি মেসি। একই শাস্তি পেয়েছেন ক্লাব সতীর্থ জর্দি আলবাও। তবে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার ম্যাচেই ইন্টার মিয়ামির জয়ে বড় অবদান রেখেছেন মেসি। প্রথমার্ধে গোল না পাওয়ার কারণ হিসেবে এমএলএসের নিষেধাজ্ঞাকেও কিছুটা দায়ী করেন মেসি। তিনি জানান, আগের ম্যাচে না খেলার প্রভাবই পড়েছে অ্যাটলাসের বিপক্ষে প্রথমার্ধে। মেসি বলেন, ‘আসলে গরমের মধ্যে খেলা কঠিন ছিল। আগের দিন না খেলায় তা আরও কঠিন হয়েছে। অনেকেই ভাবেন বিশ্রাম ভালো। কিন্তু আমার জন্য সেটা খারাপ। কারণ আমি নিয়মিত প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকতে চাই।’ আর্জেন্টাইন সুপারস্টার বলেন, ‘আমি যত বেশি ম্যাচ খেলি, তত ভালো অনুভব করি এবং ছন্দে থাকি। আগের দিন তারা আমাকে খেলতে দেয়নি। যার প্রভাব প্রথমার্ধে পড়েছিল। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমরা জয় পেয়েছি।’ মিয়ামির সর্বশেষ ২৭টি গোলের ২১টিতে অবদান রেখেছেন মেসি- গোল বা অ্যাসিস্টের মাধ্যমে। নতুন আরও এক শিরোপার খোঁজে শুভযাত্রা করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। মেসি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতাটা আমাদের জন্য দারুণ। আমরা প্রতিবারই এতে অংশ নিই। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে মেক্সিকান দলগুলোর মুখোমুখি হওয়া। এখন ফরম্যাট বদলেছে, তাই আমরা উপভোগ করতে পারি, খেলতে পারি। এটা দারুণ এক প্রতিযোগিতা। আর (এই জয়) খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ ‘আমাদের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। যখন আমরা মেক্সিকান দলের বিপক্ষে খেলি, তখন পয়েন্ট টেবিল আমাদের পক্ষে থাকে। তাই আমাদের অন্যদের চেয়ে বেশি স্কোর করতেই হবে’- যোগ করেন মেসি। ইন্টারনেট