চলতি দলবদলে লিভারপুলের সবশেষ সংযোজন আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের স্ট্রাইকার হুগো একিতিকে। প্রায় ৯ কোটি ৫০ লাখ ইউরো খরচ করে এই ফরাসি খেলোয়াড়কে দলে ভিড়িয়েছে ইংলিশ জায়ান্টরা। তাকে নিয়ে এখন পর্যন্ত অলরেডদের খরচ প্রায় ৩০ কোটি ৮৬ লাখ ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। লিভারপুলের এই খরচ চলতি মৌসুমে সব লীগ মিলিয়ে যেকোনো দলের সর্বোচ্চ। ক্লাবটির প্রধান নির্বাহী বিলি হোগান জানিয়েছেন, অনেক বছর ধরে আর্থিক স্থিতবস্থা গড়ার কারণেই এত বিনিয়োগের সুযোগ পেয়েছে লিভারপুল।দলবদলের বাজারে ইংলিশ জায়ান্টদের ভূমিকা অনেকটাই রিয়াল মাদ্রিদের মতো। অল হোয়াইটরা যেন পকেটে হাতই ঢুকাতে চায় না ট্রান্সফার উইন্ডোগুলোতে। তবে চলতি দলবদলে দেদারসে টাকা ঢেলেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এখন পর্যন্ত রিয়াল খরচ করেছে ১৭ কোটি ৮০ লাখ ইউরো, যা গত ছয় বছরের মধ্যে ক্লাবটির সর্বোচ্চ খরচ। সেই পথেই হেটেছে প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়নরাও। গত মৌসুমে লিভারপুল দলবদলে খরচ করে সাকুল্যে ৪ কোটি ২০ লাখ ইউরো।

আগের ২০২৩-২৪ মৌসুমের খরচটা তুলনামূলক বেশিই, ১৭ কোটি ২০ লাখ ইউরো। এটি ছিল অলরেডদের দলবদল ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ খরচ। এবারের আগে লিভারপুলের সবচেয়ে বেশি খরুচে মৌসুমটি ছিল ২০১৮-১৯। সেবার তারা খরচ করে ১৯ কোটি ২২ লাখ ইউরো। যদিও এ খরচ প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবগুলোর চেয়ে সামান্যই। ২০২৩-২৪ মৌসুমে যেবার অলরেডরা ১৭ কোটি ইউরোর কিছু বেশি খরচ করে, তখন আরেক ইংলিশ জায়ান্ট চেলসির ব্যয় ছিল ৪৬ কোটি ৪১ লাখ ইউরো।

লিভারপুলের চলতি দলবদলের ৩০ কোটি ৮৬ লাখ ইউরো সব লীগের যেকোনো দলের সর্বোচ্চ খরচ তো বটেই, আবার ২০১৬’র পর প্রিমিয়ার লীগের কোনো ক্লাবের দলবদলে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শেষ পর্যন্ত এককভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসারও সুযোগ রয়েছে ক্লাবটির। এর আগে আর্নে স্লট দলে ভিড়িয়েছেন ফ্লোরিয়ান ভির্টৎস (১২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো), মিলোজ কেরকেজ (৪ কোটি ৬৯ লাখ ইউরো), জেরেমি ফ্রিমপং (৪ কোটি ইউরো) ও আরমিন পেচসিকে (১০ লাখ ৭৮ হাজার ইউরো)। এখানেই থামছে না অলরেডরা। গুঞ্জন রয়েছে নিউক্যাসল ইউনাইটেড থেকে ক্লাবটি উচ্চমূল্যে নিয়ে আসতে পারে আলেক্সানাদার ইসাককে।