বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের নতুন মৌসুমের দলবদল সম্পন্ন হয়েছে। খেলোয়াড়দের দলবদলের চূড়ান্ত তালিকা বাফুফের কাছে পৌঁছেছে। প্রিমিয়ার লিগের ১০ ক্লাবের স্থানীয় ও বিদেশী খেলোয়াড়দের নাম তাতে আছে। মোট ৪৮ জন বিদেশি ফুটবলারের মধ্যে ১১ জন সার্কভুক্ত দেশের, বাকি ৩৭ জন সার্কের বাইরের। অবশ্য সার্কভুক্ত দেশের খেলোয়াড়রা বিশেষ বিবেচনায় দেশী হিসেবে খেলবেন। এই ১১ জনের মধ্যে নেপালের আধিপত্য বেশি, ৮ জনই নেপালি। ব্রাদার্স ইউনিয়নে দেশটি থেকে চার ফুটবলার যোগ দিচ্ছেন- জোগেশ গুড়ং, সানিশ শ্রেষ্ঠা, অঞ্জন বিস্তা ও আরিক বিস্তা। নেপালের অধিনায়ক ও গোলরক্ষক কিরণ কুমার লিম্বু ও ফরোয়ার্ড আয়ুশ ঘালান বাংলাদেশ পুলিশ এফসিতে।

ফর্টিসে নেপালি ডিফেন্ডার অনন্ত তামাং। রহমতগঞ্জ নিয়েছে নেপালের ডিফেন্ডার অভিষেক লিম্বুকে। সার্কভুক্ত দেশের বাকি তিন জন ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের। ভুটানের মিডফিল্ডার ওয়াংচুক শেরিং খেলবেন পুলিশের হয়ে। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ও গোলরক্ষক সুজান পেরেরাকে দলে টেনেছে ফর্টিস এফসি এবং ভারতের প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী আরামবাগে। সার্কের বাইরের ফুটবলারের মধ্যে এবারও আফ্রিকানদের আধিক্য। নাইজেরিয়া, ঘানা, মালি, গাম্বিয়া, আইভরিকোস্টের মতো দেশের খেলোয়াড়ের নাম জমা পড়েছে। এবার আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় নেই। ব্রাজিল থেকে আছে তিন-চারজন।

এবার মোহামেডানে বিদেশি চার জন। গত লিগের চ্যাম্পিয়ন দলে তিনজনই ঘানার- বানার্ড মরিসন, এলি কেকে এবং গত লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা স্যামুয়েল বোয়াটেং। উজবেকিস্তানের ফুটবলার মোজাফফরভকে রেখে দেওয়া হয়েছে। ফকিরেরপুল থেকে আনা হয়েছে রাফায়েল টুডুকে। আবাহনীর দল এবার বেশ শক্তিশালী। শেষ মৌসুমে মোহামেডানের সাফল্যের নায়ক দিয়াবাতেকে নিয়ে এসেছে গতবারের রানার্সআপরা। আগেই দলে থাকা নাইজেরিয়ার এমেকার সঙ্গে নতুন যোগ হচ্ছেন ব্রাজিলের ব্রুনো। গতবার আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র না আসায় তিনি এএফসি কাপে খেলতে পারেননি আকাশি-নীলের হয়ে।