বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রেফারিদের ওপর হামলার ঘটনায় এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সম্প্রতি সিটি ক্লাব ও বাফুফে এলিট একাডেমির মধ্যকার ম্যাচ শেষে রেফারি জিএম চৌধুরী নয়নকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও আক্রমণের ঘটনায় ক্লাবের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে বাফুফে।

রেফারির ওপর ‘দুই দফা’ হামলা: মে অনুষ্ঠিত ম্যাচে খেলা শেষ হওয়ার পর রেফারি জিএম চৌধুরী নয়নকে মাঠেই বেদম প্রহার করেন সিটি ক্লাবের একাধিক খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। প্রথম হামলার পর তিনি মাঠে লুটিয়ে পড়লে, পরে আবারও এক দফা আক্রমণের শিকার হন তিনি।

নোটিশে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ: বাফুফের পাঠানো আনুষ্ঠানিক নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, সিটি ক্লাবের গোলরক্ষক কোচ মো. শাহ আলম টুটুল প্রথমে রেফারিকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন এবং বাকিদেরও মারধরের জন্য উসকে দেন। এছাড়াও খেলোয়াড় মাসুম মিয়া (জার্সি-৯৯), মিজানুর রহমান (জার্সি-৮), বলবয় মো. ইউনুস, আশরাফুল ইসলাম (জার্সি-১) যিনি সহ-খেলোয়াড়দের রেফারির ওপর আক্রমণে উদ্ধুদ্ধ করেন এবং দর্শক পরিচয়ে থাকা শাহ আলম (সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত), রেফারি ও সহকারী রেফারিকে মারধরের সঙ্গে জড়িত বলে নোটিশে অভিযোগ আনা হয়েছে।

কারণ দর্শানোর নির্দেশ ও নিষেধাজ্ঞা: সিটি ক্লাবকে আজ বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১২টার মধ্যে লিখিতভাবে বাফুফে সচিবালয়ে তাদের অবস্থান ও ব্যাখ্যা জমা দিতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পেলে বাফুফে ডিসিপ্লিনারি কমিটি কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্ত খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের ওপর সাময়িকভাবে খেলায় অংশগ্রহণ ও স্টেডিয়ামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।