হাভিয়ের কাবরেরা না রাখার জন্য সমর্থক থেকে শুরু করে অনেকেই মত দিয়ে আসছেন। বিশেষ করে হামজা চৌধুরীসহ অন্য প্রবাসীরা আসার পর বাংলাদেশ দলের চিত্র বদলে গেছে। এমন দলকে ডাগ আউট থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সামর্থ্য কাবরেরার আছে কিনা সংশয় প্রকাশ করে আসছেন সংশ্লিষ্টরা।
এতো দিন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত দলকে একটি এক তাল লয়ে খেলাতে পারছেন না। মুখ চেনা খেলোয়াড় তার বেশি পছন্দ। ম্যাচের কোন মুহূর্তে কী করতে হবে সেটাও মনে হয় অজানা স্প্যানিশ কোচের! এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকং চায়নার কাছে ৪-৩ গোলে হারের পর কাবরেরার বিদায়ের দাবি জোরালো হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলছেন অন্য কথা।
বৃহস্পতিবার রাতে ম্যাচ শেষে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এক সাংবাদিক বাফুফের প্রধানকে জিজ্ঞাসা করেন, এর পরও কাবরেরাকে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে দেখা যাবে কিনা? হাসতে হাসতে তাবিথ তাৎক্ষণিক উত্তর এড়িয়ে গেছেন। বলেন, ‘এখন এগুলো নিয়ে মন্তব্যের সময় না। (মাত্রই) ম্যাচটা শেষ করেছি। অবশ্যই ম্যাচ–পরবর্তী একটি ব্রিফিং হবে। তখন বিস্তারিত কথা বলবো।’
যদিও ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল হজম করে শূন্য হাতে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। তবে বাংলাদেশের খেলায় উন্নতিই দেখছেন তাবিথ। বলেন, ‘আমি দর্শকের দিক থেকে দেখি, একটি ম্যাচে সাতটা গোল হয়েছে। এটি অবশ্যই একটি বড় ব্যাপার। ৩-১ থেকে ৩-৩ সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ, এটিও মানসিকভাবে বড় উন্নতি। আরও টেকনিক্যালি অ্যানালাইসিস করতে হবে। আমাদের অতীতে এবং আগামীতে কী আছে চিন্তা করতে হবে।’বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে। শুক্রবার দুপুরেই হংকংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে জামাল ভূঁইয়া-হামজা চৌধুরীদের।