২০২৬ সালের বিশ্বকাপের আগে নতুন একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ঘোষণা দিয়েছে ফিফা। এর নাম রাখা হয়েছে ‘ফিফা সিরিজ’, যা আগামী বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হবে।

ফিফা সিরিজ আন্তর্জাতিক বিরতির সময় বিভিন্ন মহাদেশের জাতীয় দলগুলোকে একে অপরের সঙ্গে খেলার সুযোগ করে দেবে। এই সিরিজের মূল লক্ষ্য—দলগুলোকে নতুন অভিজ্ঞতা দেওয়া এবং মহাদেশের বাইরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মাধ্যমে ফুটবলের মান উন্নত করা। ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত পাইলট প্রোগ্রাম সফল হওয়ায় এবার বড় পরিসরে এই আয়োজন করা হচ্ছে।

ফিফা জানায়, এবার আরও বেশি দল এবং আয়োজক দেশ অংশ নেবে। প্রথমবার নারীদের জন্যও আলাদা সংস্করণ চালু হবে। এই বড় ফরম্যাটের উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক ফুটবলে সমতা আনা এবং খেলার মান বৃদ্ধি করা। ফিফার ২০২৩–২০২৭ সালের পরিকল্পনার মধ্যেই এই উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত।

ফিফা সভাপতি **জিয়ান্নি ইনফান্তিনো** বলেন, “ফিফা সিরিজ খেলোয়াড়, কোচ এবং সমর্থকদের উন্নতির সুযোগ দেবে। এটি ফুটবলের সর্বজনীনতা এবং বৈচিত্র্যকে সামনে নিয়ে আসবে। ২০২৬ সালের সিরিজ পুরুষ ও নারী—দুই পর্যায়ের ফুটবলের উন্নতিতে সহায়ক হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের লক্ষ্য দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত করা এবং স্থানীয় দল ও সমর্থকদের বিশ্ব ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা।”

ফিফা সিরিজ ২০২৬-এর আয়োজক দেশগুলো হবে অস্ট্রেলিয়া, আজারবাইজান, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, মরিশাস, পুয়ের্তো রিকো, রুয়ান্ডা ও উজবেকিস্তান। নারীদের সিরিজ শুরু হবে ব্রাজিল, কোট দি আইভরি এবং থাইল্যান্ডে। আরও কিছু দেশের সঙ্গে অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা চলছে।

প্রতিটি গ্রুপে বিভিন্ন মহাদেশের দল একত্রে খেলবে। ম্যাচগুলো প্রীতি ম্যাচের মতো হবে, যা দলগুলোকে নতুন কৌশল, নতুন খেলার ধরণ এবং নতুন প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা দেবে।

মাঠের বাইরেও এই সিরিজ নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে—দলগুলোর ফুটবল পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে, দেশগুলোর মধ্যে ফুটবল সংস্কৃতির বিনিময় হবে এবং এক দেশের দল অন্য দেশের খেলার ধরন থেকে শিখতে পারবে। মূলত এই উদ্দেশ্য নিয়েই ফিফা সিরিজ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে।