ভারতের অরুণাচল প্রদেশে অনুষ্ঠিতব্য সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আজ মঙ্গলবার ভারতের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এবারের স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন দুইজন প্রবাসী ফুটবলার। তবে জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ এই মিশনে পাওয়া যাচ্ছে না বসুন্ধরা কিংসের দুই ফুটবলার এবং বিকেএসপির দুই খেলোয়াড়কে।সিনিয়র জাতীয় দলের মতো বয়স ভিত্তিক দলেও এখন প্রবাসী ফুটবলারদের যুক্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ স্কোয়াডেও রয়েছেন দুইজন প্রবাসী ফুটবলার। গত অনূর্ধ্ব-২০ দলের অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল মনে করেন, প্রবাসী ফুটবলাররা দলে শক্তি যোগ করেন। তিনি বলেন,‘হামজা ভাই খেলার পর বাংলাদেশ দলের শক্তি বেড়েছে। আশা করি তারাও আমাদের দলের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।’ যদিও গত অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী ফুটবলার আরহাম ইসলাম সতীর্থদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত বলের যোগান পাননি, এবার এমনটা ঘটে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। এদিকে, বসুন্ধরা কিংসের দুই ফুটবলার চন্দন ও ইউসুফকে টুর্নামেন্টের জন্য ছাড়েনি তাদের ক্লাব। এছাড়া বিকেএসপির দুইজন ফুটবলার ব্যক্তিগত কারণে ক্যাম্পে যোগ দেননি। দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন জানান, বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রা না থাকায় দলের শক্তিমত্তা খানিকটা কমেছে। তিনি বলেন, ‘তারা আসলে দলের শক্তি বাড়ত। যেহেতু আসেনি ৩১ জন নিয়েই আমরা আজ (সোমবার) সকাল পর্যন্ত অনুশীলন করেছি। আজ ২৩ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড করেছি। আমরা আশা করি ভালো ফলাফলের।’

জানা গেছে, গত বছরও বসুন্ধরা কিংস অনূর্ধ্ব-২০ দলের জন্য খেলোয়াড় ছাড়েনি, সে সময় কোচ মারুফুল হকের সঙ্গে ক্লাবটির বিবাদ হয়েছিল। এবারও জুনিয়র পর্যায়ে খেলোয়াড় না ছাড়া প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত বাফুফের সহ-সভাপতি ও ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ‘জুনিয়র পর্যায়ে ক্লাবের খেলোয়াড় ছাড়ার বিষয়ে বিধির বাধ্যবাধকতা নেই। ক্লাবেরও কিছু প্রায়োরিটি থাকে। খেলোয়াড়দেরও ক্যারিয়ারের বিষয় রয়েছে। আমাদের সকলেরই জাতীয় স্বার্থ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করা দরকার। এখানে বোধ হয় খানিকটা ঘাটতি রয়েছে। সামনে ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসে এই বিষয়ে আলোচনা করব।’কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন নারী বয়স ভিত্তিক ফুটবলে অনেক সাফল্য পেলেও এবারই প্রথম ছেলেদের কোনো দলকে নিয়ে সাফ টুর্নামেন্টে যাচ্ছেন। গত বছর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, তাই স্বাভাবিকভাবেই এবারও প্রত্যাশা বেশি। এ নিয়ে ছোটন বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের প্রত্যাশা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আমি সব সময় শৃঙ্খলার দিকে নজর দেই। এই ছেলেরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ছিল। আমার কাজ করতে কোনো সমস্যা হয়নি।’ সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের জন্য বাংলাদেশ দল গোলাম রব্বানী ছোটনের অধীনে ২১ দিন অনুশীলন করেছে। এর মধ্যে দুই সপ্তাহ যশোরের শামসুল হুদা ফুটবল একাডেমিতে অনুশীলনের পর শেষ সময়ে বিকেএসপিতে অনুশীলন হয়েছে।