ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে গত মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে ২২ বছর পর ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শেখ মোরসালিনের একমাত্র গোল এনে দেয় এ সাফল্য। ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল কানাডা-প্রবাসী ফুটবলার সামিত সোমের।দেশের জার্সিতে স্মরণীয় এই ম্যাচের পর গতকাল টিম হোটেল থেকে নিজ গ্রামের বাড়ি সিলেটে গেছেন তিনি। দু’দিন সেখানে কাটিয়ে ফিরে যাবেন কানাডায়। গ্রামের বাড়িতে গণমাধ্যমের সঙ্গে নিজের অনুভূতি ভাগ করে নেন সামিত।ভারতের বিপক্ষে এই জয়কে নিজের ক্যারিয়ারে বিশেষ প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন তিনি। তার বিশ্বাস, এই সাফল্য দেশের ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দেবে। সামিত বলেন, ‘জয়ের মুহূর্তটা আমার জন্য খুবই স্পেশাল। শুধু আমার জন্য না, স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য, ফ্যানদের জন্য, মিডিয়ার জন্য, সবার জন্যই এটা বিশেষ কিছু। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা হারের ধারাটা ভাঙতে পেরেছি। এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। নতুন বছরটা আরও ভালোভাবে শুরু করতে পারব।’ তিনি জানান, দলের ভেতর শুরু থেকেই বিশ্বাস ছিল ভারতের বিপক্ষে জেতা সম্ভব, ‘আমাদের একটা কনফিডেন্স ছিল যে আমরা ম্যাচটা জিতব। সেটাই হয়েছে।’ম্যাচ শেষে শ্রীমঙ্গলে ফেরার পরিকল্পনাও আগে থেকেই করে রেখেছিলেন তিনি। নিজের ঘরে ফেরার আলাদা আনন্দ, আর জয়ের পর পরিবারের সঙ্গে উদযাপনের অনুভূতিও ভিন্নরকম। সামিত বলেন, ‘সিজন শেষ, তাই এবার সময় পেয়েছি। জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে আসতে পারিনি। এবার নিজের জায়গায় ফিরে ভালো লাগছে।

এমন একটা জয়ের পর পরিবারের সঙ্গে আনন্দটা আরও বাড়ছে।’ নিজ এলাকার ছেলেদের সঙ্গে দেখা করে তাদের অনুপ্রাণিত করার ইচ্ছা আছে তার। তিনি চান শ্রীমঙ্গল থেকেও আরও ফুটবলার উঠে আসুক। সামিত বলেন, ‘আমি চাই এখানকার ছেলেরা পরিশ্রম করুক। ভালোভাবে ট্রেনিং করলে ওদেরও সুযোগ আসবে।

দেশের নানা জায়গা থেকে খেলোয়াড় উঠে আসে, এখান থেকেও আসতে পারে।’’ ভারতের বিপক্ষে এই দারুণ জয়ের পর যেমন আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল, তেমনি অনুপ্রাণিত সামিত সোমও। দেশের হয়ে মাঠে আরও বড় কিছু করতে চান তিনি।