এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১৮ গোল দিয়েছে লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। গতকাল শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগামী শুক্রবার নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বাহরাইনের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। চীনের ইয়ংচুয়ান স্পোর্টস সেন্টারে বাংলাদেশের তৃতীয় জয় পাওয়ার এ ম্যাচে জোড়া গোল করেন নাজমুল হুদা। একটি করে গোল মোহাম্মদ মানিক, বায়েজিদ বোস্তামি ও ইকরামুল ইসলামের। ৩০ নভেম্বর গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক চীন। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে আগামী বছর মে মাসে সৌদি আরবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপে খেলতে পারবে বাংলাদেশ। এবার বাছাইপর্ব দারুণ জয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৫-০ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রুনেইয়ের জালে ৮ গোল দেয়।১৬ দল নিয়ে আয়োজিত হবে অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়া কাপ। এরই মধ্যে ৯ দল মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে, বাকি ৭ দল বাছাইপর্ব থেকে যাবে। এশিয়ান কাপে এখন পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে দুবার আর অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে চারবার অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। কোনোবারই গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারেনি। সর্বশেষ ২০০৬ সালে বাছাই পেরোলেও মূল পর্বে তিন ম্যাচের তিনটিতেই হারে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হলেও করোনার কারণে মূল টুর্নামেন্ট হয়নি। ২০১৪ সালে টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় বাংলাদেশ।
ক্যাচ ধরায় রেকর্ড গড়লেন মারক্রাম
স্পোর্টস ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের অন্যতম ভরসা এইডেন মারক্রাম ব্যাট হাতে যেমন নির্ভরযোগ্য, মাঠে ফিল্ডিংয়েও তেমনি অসাধারণ। ভারতের বিপক্ষে গুয়াহাটি টেস্টে তার দুর্দান্ত ক্যাচিং দক্ষতা নতুন করে আলোচনায় এসেছে। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট আটটি ক্যাচ নিয়ে তিনি টেস্ট ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ডে ভারতের অজিঙ্কা রাহানের পাশে জায়গা করে নিয়েছেন।
প্রথম ইনিংসে মারক্রাম পাঁচটি ক্যাচ নেন, যাদের মধ্যে ছিলেন কে এল রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা, নিতিশ কুমার রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দর ও কুলদীপ যাদব। দ্বিতীয় ইনিংসে আরো তিনটি ক্যাচ তুলে নেন তিনি। সেই তালিকায় রয়েছেন সাই সুদর্শন, ধ্রুব জুরেল এবং ঋষভ পন্ত। এর ফলে রাহানের ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করা আট ক্যাচের রেকর্ডে তিনি যৌথভাবে শীর্ষে উঠে আসেন এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাতজন ক্রিকেটারকে পিছনে ফেলেন, যাদের প্রত্যেকেরই ছিল সাতটি করে ক্যাচ। প্রোটিয়া তারকা স্বভাবজাতভাবে একজন দুর্দান্ত অ্যাথলেট। যা তাকে ফিল্ডিংয়ে অতিরিক্ত সুবিধা দেয়। দ্রুতগতিতে দৌড়ে বলের নিচে অবস্থান নেয়া এবং সঠিক জায়গায় পৌঁছে কঠিন ক্যাচকে সহজ দেখানোর ক্ষমতা তার রয়েছে।
এছাড়া তার ক্যাচ নেয়ার কৌশলেও রয়েছে প্রশংসনীয় নিখুঁততা, মাথা স্থির রাখা, শরীরের ভঙ্গি ঠিক রাখা এবং বলের নিচে নিজেকে সেট করে নেয়া, এগুলোই তাকে পরিণত করেছে দলের সবচেয়ে নিরাপদ ফিল্ডারে।