জনসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে উঠে নতুন ইতিহাস লিখল কুরাসাও। কনকাকাফ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে জ্যামাইকার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ক্যারিবীয়ান ছোট দ্বীপরাষ্ট্রটি। এর মধ্য দিয়ে তারা ভেঙেছে আইসল্যান্ডের রেকর্ড। আইসল্যান্ডকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া সবচেয়ে ছোট দেশের মর্যাদা এখন কুরাসাওয়ের। মাত্র ১ লাখ ৫৬ হাজার জনসংখ্যা এবং ৪৪৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দ্বীপ কুরাসাও ফুটবলে এমন সাফল্যের স্বাদ পাবে, তা অনেকের কল্পনাতেও ছিল না। ডাচ কোচ ডিক অ্যাডভোকেট-এর অধীনে পুরো বাছাই পর্বে অপরাজিত থেকেছে দলটি। ব্যক্তিগত কারণে জ্যামাইকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ডাগআউটে না থাকলেও তার দলের অদম্য যাত্রা থামেনি। পথে বারমুডাকে ৭-০ গোলের বড় জয়ও পেয়েছে তারা। ২০২৬ বিশ্বকাপের গ্রুপ-পর্বের ড্র হবে ৫ ডিসেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডি.সি.র কেনেডি সেন্টারে। সেদিনই জানা যাবে কারা হবে কুরাসাওয়ের প্রথম প্রতিপক্ষ। ইন্টারনেট
২৮ বছর পর বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড
১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছে স্কটল্যান্ড। মঙ্গলবার হ্যাম্পডেন পার্কে দারুণ উত্তেজনাকর এক ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের দুই গোলের সহায়তায় ডেনমার্ককে ৪-২ গোলে হারিয়ে এই অর্জন নিশ্চিত করে স্কটিশরা। ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত উত্তেজনা ধরে রাখা এই লড়াইয়ে ৮১তম মিনিটে প্যাট্রিক ডরগু গোল করে ১০ জনের ডেনমার্ককে দ্বিতীয়বারের মতো সমতায় ফেরালে মনে হচ্ছিল ডেনমার্কই গ্রুপ ‘সি’-তে শীর্ষ স্থান ধরে রেখে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করবে। কিন্তু যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে কিয়েরান টিয়েরনি দারুণ এক শটে বল জালে পাঠান- স্কটল্যান্ডকে আবার সামনে এনে দেন। ডেনমার্ক তখন মরিয়া হয়ে আক্রমণে উঠে গোলরক্ষক ক্যাসপার শ্মাইকেলকেও স্কটল্যান্ডের বক্সে তুলে দেয়। সেই ফাঁকা পোস্টই কাজে লাগান কেনি ম্যাকলিন। দূরপাল্লার শটে বল পাঠান ফাঁকা জালে-স্কটল্যান্ডের দারুণ উৎসব শুরু হয় হ্যাম্পডেন পার্কে। অবশেষে রোমাঞ্চকর ৪-২ গোলের জয় নিয়ে স্কটল্যান্ড দখল করে নিল গ্রুপ ‘সি’-এর শীর্ষ স্থান এবং নিশ্চিত করল ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট-২৮ বছর পর ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে ফিরে যাওয়ার গৌরবজনক অর্জন। ইন্টারনেট