চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দুঃসংবাদ শুনলেন ইন্টার মিলান অধিনায়ক লাওতারো মার্তিনেজ। ছন্দে থাকা মার্তিনেজকে জরিমানা করেছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (এফআইজিসি)। তবে জরিমানার অঙ্কের চেয়ে যে কারণে জরিমানা গুনতে হচ্ছে, সেটিই এখন বেশি আলোচনার কেন্দ্রে, যা মার্তিনেজের জন্য বিরু ‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগ আনে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মূলত জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। এক বিবৃতিতে মার্তিনেজকে শাস্তি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এফআইজিসি।
বিবৃতিতে বলা হয়, মার্তিনেজ দুইবার ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননাকর শব্দ উচ্চারণ করেন, যা টেলিভিশনে স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে। যদিও কোন শব্দ উচ্চারণের কারণে মার্তিনেজকে এই শাস্তি পেতে হলো, সেটি বলা হয়নি বিবৃতিতে। বিবৃতিতে ইতালিয়ান ফেডারেশন জানিয়েছে, এ ধরনের আপত্তিকর ভাষার ব্যবহার স্পোর্টিং জাস্টিস কোডের ৩৭ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন, যা এক ম্যাচের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধও বটে। তবে উভয় পক্ষের আলাপের পর মার্তিনেজের জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। প্রাথমিকভাবে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ অবশ্য পুরোপুরি অস্বীকার করেন মার্তিনেজ। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার বলেছিলেন, ‘আমি কখনোই সেই শব্দগুলো উচ্চারণ করিনি। আমি হতাশ ছিলাম, কিন্তু এমন কিছু বলিনি। আমি আমার সন্তানদের শ্রদ্ধাবোধ শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করি। এ ঘটনা আমার জন্য যন্ত্রণাদায়ক।’ মার্তিনেজের নির্দোষ দাবির পরও অবশ্য ফেডারেল প্রসিকিউটর অফিস আর্জেন্টাইন তারকার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং পরবর্তী সময়ে অডিও রেকর্ডিংয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতাও মেলে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মূলত জরিমানার শাস্তির মুখে পড়তে হলো মার্তিনেজকে। সিরি আ’তে এ ধরনের অভিযোগে শাস্তি এবারই প্রথম নয়। ইন্টারনেট