যুক্তরাষ্ট্রের সুলিভান পরিবারকে ফুটবল পরিবার বলাই যায়। এই পরিবারের চার সহোদর ভাই বর্তমানে ফুটবল খেলছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় কুইন সুলিভান খেলছেন মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের হয়ে। আরেক ভাই কাভানকে তো বিশ্বের সেরা তরুণ প্রতিভার একজন হিসেবে ধরা হচ্ছে।সুলিভান ভাইদের নিয়ে আলোচনার যথেষ্ট কারণ আছে। যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া এই ভাইদের সঙ্গে যে বাংলাদেশেরও নাম জড়িয়ে আছে। তাদের শরীরে যে একই সঙ্গে বইছে বাংলাদেশ, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের রক্তের উত্তরাধিকার। অর্থাৎ ফুটবলার হিসেবে এই তিনটি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ আছে সুলিভান ভাইদের।সুলিভানদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক মায়ের দিক থেকে। সুলভানের নানি বাংলাদেশি ও নানা ছিলেন জার্মান। এই সূত্রে আমেরিকার পাশাপাশি এই দুই দেশের জাতীয় দলে খেলার সুযোগও আছে তাদের।আর এই সুযোগটাই নিতে চায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। হামজা চৌধুরী, সমিত সোম, কিউবা মিচেলদের পথ ধরে বাংলাদেশের ফুটবলে দেখা যেতে পারে রোনান ও ডেক্লাইন সুলিভানকে। সে জন্য কাজ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে বাফুফে।

বুধবার বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম জানান, সুলিভান ভাইদের বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর জন্য বুধবার থেকে অফিসিয়াল ভাবে কাজ শুরু করবে বাফুফে। সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব -২৩ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ক্যাম্পে তাদের পাবার ব্যাপারে আশাবাদী বাফুফে।ফাহাদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতেই রোনান ও ডেক্লাইনের বাবা ব্রেন্ডনের সঙ্গে জুম মিটিংয়ে বাফুফের আলোচনা হয়েছে। এ সময় বাফুফের কাছে তিনটি বিষয় জানতে চায় তাদের বাবাকোন কোন প্রক্রিয়ায় আগালে দ্রুত কাজ হবে, হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরার চাওয়া কী এবং রোনান ও ডেক্লাইন এখনও যেহেতু বয়সভিত্তিক দলে খেলছেন তারা অনূর্ধ্ব ২৩ দলের জন্য বিবেচিত হবেন।এই দুই যমজ এখন ওয়াইএসসি একাডেমিতে খেলা শিখছেন। খেলছেন এমএলেসের ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের অঊর্ধ্ব ১৮ দলে। রোনান স্ট্রাইকার হিসেবে চলতি মৌসুমে ৯ ম্যাচে ১১ গোল করেছেন। ডেক্লাইন খেলে মাঝমাঠে।তবে কুইন আর কাভানের জন্য এখনই চেষ্টা করার কথা ভাবছে না বাফুফে। কারণ কুইন ও কাভানের সামনে এখনও যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির হয়ে খেলার সম্ভাবনা আছে। কাভানকে তো আগামী প্রজন্মের সেরা প্রতিভার মধ্যে বিবেচনা করছেন খোদ লিওনেল মেসি। ফলে বাংলাদেশের জার্সিতে তাদের দেখার আশা করাটা একটু বাড়াবাড়িই।