তিন বছর পর শুরু হয়েছে জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। জেলা পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টের শুরুতেই ঘটেছে রেফারি লাঞ্ছনার ঘটনা। ১০ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে রেফারি, সহকারী রেফারি লাঞ্ছিত হয়েছেন। রেফারি, ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টের ভিত্তিতে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি গতকাল রাজশাহীকে শাস্তি দিয়েছে।

রাজশাহী জেলার চার ফুটবলার গোলাম রাব্বি, জমজম, জনি, রনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আওতাভুক্ত পরবর্তী চার ম্যাচে খেলতে পারবেন না। টিম ম্যানেজার রতন, কোচ মাহবুব আলম, সহকারী কোচ আলম বাফুফে আয়োজিত ৬ ম্যাচে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। ব্যক্তিগত শাস্তির পাশাপাশি রাজশাহী জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ডিসিপ্লিনারি কমিটি।

জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে সভা শেষে বাফুফে সদস্য সাখওয়াত হোসেন ভূইয়া শাহীন মিডিয়ায় কথা বলেছেন। চলমান প্রতিযোগিতার নানা অসঙ্গতি নিয়ে বলেন, ‘আমরা রেফারিদের নিরাপত্তা, রেফারিং মান সহ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে অবগত রয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’ বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালও জেলা চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে বেশ সতর্ক অবস্থানে। বাফুফে সদস্য শাহীন বলেন, ‘রেফারি ম্যাচ কমিশনারকে খেলার পর পর রিপোর্ট দেবে। ম্যাচ কমিশনার ফেডারেশনকে এরপর দুই রিপোর্টের ভিত্তিতে ফেডারেশন পদক্ষেপ নেবে। সভাপতির নির্দেশনায় আমরা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ পরিচালনা কমিটি সকল কিছু খুব গুরুত্ব সহকারে দেখভাল করছি।’

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বাফুফে জাতীয় পর্যায়ের ফুটবলের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ইতোমধ্যে পাঁচ কোটি টাকা পেয়েছে বাফুফে। জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন ৭৫ হাজার টাকা পাচ্ছে প্রথম ধাপে। এটা অনেক জেলার কর্মকর্তারা অপ্রতুল বলে মন্তব্য করছেন।