গোপালপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা: সূচনা কালিহাতী গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ২০২৫ সালের বর্ণাঢ্য ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, (১৩ সেপ্টেম্বর) শনিবার বিকেলে, কালিহাতী হাই স্কুল মাঠে এ ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়ে মাঠ ছিল উৎসবমুখর। এ খেলায় মুখোমুখি হয় কালিহাতীর বাংড়া ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ বনাম মরহুম ফরহাদ হোসেন তালুকদার স্মৃতি ফুটবল একাডেমি গোপালপুর। নির্ধারিত ৭০ মিনিটের খেলায় গোলশূন্য ড্র হয়। পরে ট্রাইব্রেকারে ৪-০ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় মরহুম ফরহাদ হোসেন তালুকদার স্মৃতি ফুটবল একাডেমি গোপালপুর একাদশ।

ফাইনাল শেষে আয়োজকরা বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন। খেলা দেখতে মাঠে বিপুলসংখ্যক দর্শকের উপস্থিতি ছিল, যা স্থানীয় ফুটবলের প্রতি মানুষের আগ্রহের উজ্জ্বল প্রমাণ।

নারায়ণগঞ্জ : সরকারি মুড়াপাড় কলেজে ইসলামী ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্কে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি

একাদশ শ্রেণির ভর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সরকারি মুড়াপাড় কলেজ শাখা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে হেল্প ডেস্ক স্থাপন কর, কিন্তু ছাত্রদল নামীয় কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল যুবক শিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলা করে তাদের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। ব্যানার ও কাগজপত্র ছিড়ে ফেলে এবং সহায়তা প্রদানকারী শিবির কর্মীদের শারিরীকভাবে নাজেহাল করে এবং জোরপূর্বক আটক রাখে।

এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য এবং জেলা সেক্রেটারী মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান এক যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীরা ক্যাম্পাসে নবীন হওয়ায় তারা অপরের সহায়তা কামনা করে। ইসলামী ছাত্রশিবির কল্যাণমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে, কিন্তু তাদের এই ছাত্রকল্যাণমূলক কার্যক্রমে হামলা ও ভাঙচুর করার মাধ্যমে ছাত্রদল নামীয় উচ্ছৃঙ্খল যুবকেরা ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনামলের কথাই শুধু আমাদের স্মরণ করিয়ে দিলো। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ছাত্রলীগ নামক ফ্রাংকেনস্টাইন দানব সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করেছিল। যার ফলশ্রুতিতে ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার লাঠিয়াল বাহিনীকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হতে হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের পরে এমন ন্যাক্কারজনক হামলা কাম্য নয়।

তারা বলেন, জুলাই বিপ্লব সাধিত হয়েছে একটি বৈষম্যহীন উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ছাত্র সংগঠনের কল্যাণমূলক কার্যক্রমে হামলা ও তাদের আটক করে রাখার মতো ঘটনা জুলাই স্পিরিটের চেতনায় আঘাত। হামলা ও জুলুম নির্যাতন করে সাধারণ ছাত্রদের সমর্থন পাওয়া যায় না বরং যারা নির্যাতিত হয়, যাদের আওয়াজকে স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় দিন শেষে তারাই সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সমর্থন ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়। যারা পেশী শক্তির ওপর ভর করে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন তাদেরকে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে তাকানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ তাদের বিবৃতিতে আরো বলেন, আমরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এই সন্ত্রাসী ঘটনার সাথে যারা জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। একই সাথে তারা ছাত্রদলের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি ছাত্রদলকে এই সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার জন্য আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।