নারীদের এশিয়ান কাপে আগেই মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। লক্ষ্য ছিল গ্রুপ সেরা হয়ে ২০২৬ অস্ট্রেলিয়ার এশিয়ান কাপে খেলার। মনিকা- মারিয়াদের সেই স্বপ্নও পূরণ হয়েছে। শনিবার ‘সি’ গ্রুপে শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথমার্ধেই ৭ গোলে তুর্কমেনিস্তানকে ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছিল লাল-সবুজ দল।এশিয়া কাপ বাছাইয়ের গ্রুপ পর্বে আগেই চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বাহরাইন ও মিয়ানমারকে হারিয়ে গ্রুপে শীর্ষস্থানও নিশ্চিত হয় তাদের। শনিবার তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি ছিল কেবলই নিয়মরক্ষার। তবে সেই নিয়মরক্ষার ম্যাচেই একচেটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে ৭-০ গোলে সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে নামে বাংলাদেশ। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই দলের গোলযাত্রা শুরু করেন স্বপ্না রানী। এরপর গোল উৎসবে যোগ দেন শামসুন্নাহার ৬ ও ১৩ মিনিটে জোড়া গোল করে।এরপর মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে (১৬ থেকে ২০ মিনিটে) আরও তিনটি গোল আদায় করে নেয় লাল-সবুজের মেয়েরা। এই সময়ে গোলের দেখা পান মনিকা, ঋতুপর্ণা ও তহুরা খাতুন। প্রথমার্ধের শেষদিকে, ৪২তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে দলের সপ্তম গোলটি নিশ্চিত করেন ঋতুপর্ণা। ফলে বিরতিতে যাওয়ার আগেই স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৭-০।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রাধ্যন্য নিয়ে খেললেও বাংলাদেশ দলের ফুটবলারদের মধ্যে গোল সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আগ্রহের ঘাটতি দেখা যায়।এর আগে বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ৭-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচেও প্রথমার্ধে পাঁচটি গোল করেছিল ঋতুপর্ণারা।
ইতোমধ্যে গত ম্যাচে স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে বাছাই থেকে এশিয়ান কাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ফলে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি তেমন গুরুত্বপূর্ন ছিলনা। নিয়মরক্ষার হলেও এতে গুরুত্বের কোনো ঘাটতি রাখেনি তারা। আজও মাঠে নামে আগের দুই ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে।উল্লেখ্য, তুর্কমেনিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচেই মিয়ানমারের কাছে ৮-০ গোলে হেরেছিল।
বাংলাদেশ দল:
রুপ্না চাকমা (স্বর্ণা রাণী মন্ডল), আফিদা খন্দকার , শিউলি আজিম (উমেলহা), শামসুন্নাহার-২ (সুলতানা), কোহাতি কিসকু, মারিয়া মান্ডা, মনিকা চাকমা, স্বপ্না রাণী (শাহেদা আক্তার রিপা), ঋতুপর্ণা চাকমা (হালিমা), শামসুন্নাহার ও তহুরা খাতুন।