মোহাম্মদ আব্দুর রউফ সেলিম, হবিগঞ্জ : ইংল্যান্ডের ফুটবল তারকা হামজা চৌধুরী। লেস্টার সিটির জার্সি গায়ে বিশ্বমঞ্চে আলো ছড়িয়েছেন। দীর্ঘ এক দশক পর ফিরলেন নিজের পৈত্রিক ভিটায়। তবে এবার আর সেই সাধারণ গ্রাম্য যুবক নন, এলেন এক নতুন পরিচয়ে সাফল্যের শীর্ষে থাকা একজন কিংবদন্তি হিসেবে।গ্রামের কাঁচা রাস্তা, পরিচিত মাঠ, আর শৈশবের স্মৃতি জড়ানো মাটিতে পা রাখতেই যেন পুরো গ্রাম তাকে বরণ করে নিল রাজকীয়ভাবে। ছোট-বড়, বৃদ্ধ-যুবক সবাই হামজাকে একনজর দেখতে ভিড় জমিয়েছেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় হামজা চৌধুরী লন্ডন থেকে সিলেট বিমানবন্দরে দেশের মাটিতে পা রাখেন। এরপর সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষ রওনা দেন নিজের পৈতৃক ভিটার উদ্দেশ্য। হামজা চৌধুরীকে বাঁশি-ঢোল বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানান এলাকার যুবকরা। মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে নিয়ে আসেন নিজ গ্রামে। বিকেল ৩টায় হামজা চৌধুরী যখন নিজ বাড়িতে প্রবেশ করেন তখন এক অন্যরকম পরিবেশ। হামজা হামজা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ।হামজা চৌধুরীর সাথে ছিলেন তার স্ত্রী ও তিন সন্তান। প্রথমবারের মতো পুত্রবধূ বাড়িতে এসেছে, তাই আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয়া হয়।
কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার পর মঞ্চে ওঠেন হামজা। এসময় গ্রামবাসীর ফুলেল শুভেচ্ছায সিক্ত হন তিনি। তবে দীর্ঘ জার্নিতে ক্লান্ত থাকায় ভক্ত-দর্শনার্থীর উদ্দেশ্য তেমন কোন বার্তা দেননি। শুধুমাত্র শুভেচ্ছা জানিয়েই মঞ্চ ত্যাগ করেন দীর্ঘ প্রতিক্ষিত হামজা চৌধুরী। হামজা চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, হামজা তার নিজের প্রামকে অনেক ভালোবাসে। যে কারণে সে দেশে ফিরেই প্রথমে বাড়িতে এসেছে। এখানে সে একদিন থাকবে। গ্রাম ঘুরে দেখবে, গ্রামবাসীর সাথে কথা বলবে। পরে সে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দিবে।
এলাকায় যুবক রাজু আহমেদ বলেন, ঘরের ছেলে ঘরে ফেরায় আমরা খুবই খুশি। আশা করছি এভার বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন কিছু হবে। হামজার প্রতি আমাদের যে আশা সেটি তিনি পূরণ করবেন। আরেক যুবক সুয়েব মিয়া বলেন, হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরই ভারতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তারা অবসরে যাওয়া সুনীলকে আবার দলে ফেরত আনছে। এতেই বুঝা যায় হামজা আমাদের দেশের কত বড় সম্পদ। আমরা আশা করি তিনি বাংলাদেশকে দ্রুতই বিশ্বকাপে নিয়ে যাবেন।