বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। নিউ লাওস স্টেডিয়ামে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে হেরে মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচ শেষে তাদের মুখ ছিল মলিন তবে কিছুক্ষণ পরেই হাসি ফিরে আসে তাদের মুখে। কারণ, গ্রুপ পর্বে অন্যদের সব ম্যাচ শেষ হওয়ার পর জানা যায় বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে আগামী বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে।

এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্তপর্বে স্থান পাওয়ার জন্য যে ন্যূনতম সেরা তিন রানার্সআপের মধ্যে থাকার প্রয়োজন ছিল তা পূর্ণ করেছে বাংলাদেশ। শীর্ষ তিন রানার্সআপের মধ্যে দ্বিতীয় হয়ে ২০২৬ অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে আফঈদা খন্দকার-সাগরিকাদের দল। বাছাই পর্বে বাংলাদেশ খেলেছিল ‘এইচ’ গ্রুপে যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ কোরিয়া, লাওস ও পূর্ব তিমুর। এই গ্রুপের সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় লাওসে। বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো ২ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ৭টি দেশে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অংশ নেয় ২৯টি দেশ। মোট ৩৩টি দল আট গ্রুপে ভাগ হয়ে ১১টি জায়গার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।

আগামী বছরের এপ্রিল মাসে থাইল্যান্ডে দ্বাদশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ অনুষ্ঠিত হবে। থাইল্যান্ড স্বাগতিক দেশ হিসেবে সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে আগেই। বাকি ১২টি দল চূড়ান্ত হয়েছে রোববার (১০ আগস্ট) শেষ হওয়া বাছাইপর্বে।

এটি ছিল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন, কারণ তারা প্রথমবারের মতো এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা পেয়েছে। এএফসির দ্বিবার্ষিক যুব টুর্নামেন্টে (অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২০) আগেও অংশ নিয়েছে বাকি ১০টি দল, তবে বাংলাদেশের জন্য এটি ছিল একটি নতুন মাইলফলক।

এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলো: বাংলাদেশ, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, জাপান, চীন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, উত্তর কোরিয়া, জর্ডান এবং চাইনিজ তাইপে।