ভুটানে ফ্র্যাঞ্চাইজি নারী ফুটবল লিগ রোববার থেকেই মাঠে গড়ানোর কথা ছিল। উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামার প্রস্তুতিও নিচ্ছিল কৃষ্ণা রানী সরকার, রুপনা চাকমা ও মাসুরা পারভীনের দল ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেড। তবে খেলা শুরুর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে হঠাৎ করেই লিগ স্থগিতের ঘোষণা দেয় আয়োজক কমিটি। স্থগিত হওয়া এই লিগ কবে থেকে শুরু হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে লিগ শুরু হতে পারে। ভুটান থেকে কৃষ্ণা রানী সরকার জানিয়েছেন, সূচিতে পরিবর্তন হয়েছে। যতটুকু শুনেছি খেলা মে মাস থেকে শুরু হবে। আমরা অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি।বাংলাদেশি ফুটবলারদের মাধ্যমে জানা গেছে, শেষ মুহূর্তে কয়েকটি দল অংশ নিতে না চাওয়ায় বা নিবন্ধন ও প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত সময় চাওয়ায় লিগ পেছানো হয়েছে। তবে যেসব ক্লাবে বাংলাদেশের ফুটবলাররা রয়েছেন সেগুলোতে কোনো জটিলতা নেই।

খেলোয়াড়রাও মে মাস পর্যন্ত ভুটানেই থাকবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জাতীয় দলের জন্য কিছুটা উদ্বেগজনক। ২৭ মে জর্ডানে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হবে। এর আগে ঘরোয়া কিংবা বিদেশি কোনো লিগে খেলতে না পারলে সাবিনা-ঋতুপর্ণাদের জন্য নিজেদের ফিটনেস ও পারফরম্যান্স দেখিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়াটা কঠিন হয়ে উঠবে। বাফুফে অতীতে নারী ফুটবলারদের দেশের বাইরে খেলার অনুমতি না দিলেও এবার ব্যতিক্রম করেছে। আকস্মিকভাবে ১০ জন ফুটবলারকে ভুটানে খেলার ছাড়পত্র দিয়েছে সংস্থাটি। যদিও ভুটানের লিগ মানের দিক থেকে খুব বেশি সমৃদ্ধ নয়, তবুও কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও বিদেশি লিগের অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো বিদেশি লিগে একসঙ্গে ১০ বাংলাদেশি নারী ফুটবলারের অংশগ্রহণ এটাই প্রথমবার। তবে লিগ শুরু না হওয়ায় এখন খেলোয়াড়, কোচ এবং ফেডারেশন তিন পক্ষই একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।

বর্তমানে ভুটানে থাকা ১০ বাংলাদেশি ফুটবলার হলেন: সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, সুমাইয়া (পারো এফসি), কৃষ্ণা রানী সরকার, রুপনা চাকমা, মাসুরা পারভীন (ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেড) ও সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, শামসুন্নাহার সিনিয়র (থিম্পু ক্লাব)।