সম্প্রতি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হওয়ার আগে ভুটানের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তাবিথ বলেন, ‘প্রীতি ম্যাচের ক্ষেত্রে আমাদের ভাবনা আরও শক্তিশালী দলগুলো বিপক্ষে খেলা, যাতে দল আরও উন্নতি করতে পারে। এখন আমরা এশিয়ান কাপের জন্য লড়াই করছি। ভবিষ্যতে অলিম্পিক কোয়ালিফাই আসবে, বিশ্বকাপ বাছাই আসবে, সেক্ষেত্রে প্রস্তুত হওয়ার জন্য ওই মানের দলের বিপক্ষে খেলতে হবে।’ দেশের ফুটবলের উন্নয়নে ফেডারেশনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘ফুটবলেকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। চরে, পাহাড়ে, বিচে, রাস্তায় এবং অবশ্যই মাঠে। অনূর্ধ্ব-১৪ ফুটবল চলছে। ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টে জোর দেওয়া হয়েছে। নারীরা অনেক দিন পরে অনেক বড় দলের সঙ্গে খেলছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে খেলেছে। ত্রিদেশীয় সিরিজে জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়া যারা র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে, তাদের সঙ্গে খেলেছি, ড্র করেছি। জর্ডানের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ড্র করেছে। এতে করে মেয়েদের মানসিক শক্তি বাড়ছে। আগামী সাড়ে তিন বছর এগুলো নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবো।’
বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথা বললেন তাবিথ, ‘আমাদের দলের খেলা, মাঠ, জার্সি ইকুয়েপমেন্ট ‘নিম্নমানের’ ছিল বলে অভিযোগ। সেখানেও আমরা উন্নতি করছি। বাংলাদেশ যখন মাঠে নামবে, তখন যেন পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে।তৃণমূল পর্যায়ে কাজ শুরু হবে বললেন দেশের ফুটবল প্রধান, ‘জেলা ফুটবল আমরা চালু করতে পারিনি। এমন নয় যে বিষয়টা আমরা এড়িয়ে গেছি, আমরা চেয়েছি বয়সভিত্তিক শুরু করতে। এরপর ধাপে ধাপে জেলা, আন্তঃজেলা শুরু করতে চাই।’আগামী ছয় মাসের মধ্যে মাঠের উন্নতির আশ্বাস দিলেন তাবিথ, ‘আমাদের মাঠগুলো আমাদের চাওয়া অনুযায়ী উন্নত করতে পারিনি। জাতীয় স্টেডিয়ামে আমরা ফিরে পেয়েছি। কিন্তু যে স্টেডিয়ামগুলো আমরা পেয়েছি, লিগ চালানোর জন্য, ট্রেনিং করার জন্য, সেগুলোর ব্যাপারে আমাদের কমতি আছে, সেটা আমরা মানি এবং স্বীকার করি। তবে আশা করি, আগামী ছয় মাসের মধ্যে এসব ক্ষেত্রে আমরা আপনাদের উন্নতি দেখাতে পারবো।’