জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের অনেককেই স্থানীয় পর্যায়ে খেলতে দেখা যায়। অর্থের বিনিময়ে বা বিশেষ অনুরোধে কেউ নিজের এলাকাতে কেউবা অন্য জায়গায় খেলেন; যা ‘খ্যাপ’ হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেকটাই অনুপযুক্ত মাঠে খেলার কারণে খেলোয়াড়দের চোটের শঙ্কা থাকে। এ নিয়ে জাতীয় দলের অনুশীলনে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ডিফেন্ডার রহমত মিয়া।
জাতীয় দলে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে রহমত এখন অন্যতম সিনিয়র। আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ফুটবলের বাইরে স্থানীয় পর্যায়ের খেলা নিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘আসলে যখন আমরা এলাকাতে থাকি তখন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা চান, ন্যাশনাল টিমের প্লেয়াররা বাড়িতে এসেছে, তারা যেন আমাদের মাঠে খেলে। সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই প্লেয়ারদের বাধ্য হতে হয় নিজের মাঠে খেলতে।’
রহমত এরপরই বলেন, ‘প্রথমত, লোকাল টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে কে কে ইনজুরিতে আছেন জানি না। দ্বিতীয়ত, যেহেতু আমাদের ফেডারেশন থেকে একটা স্টেটমেন্ট এসেছে, আমাদের সোশাল এসপেক্ট এবং পলিটিকাল এসপেক্ট থেকে।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে ১৮ নভেম্বর ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি। শেখ মোরসালিন শিলং ম্যাচে ড্রয়ের পর এবার ঢাকায় জিততে চান। বাস্তবতা হলো, যখন ভারতের বিপক্ষে আমরা ম্যাচটা ড্র করলাম, আমাদের মন অনেক খারাপ ছিল। যদিও বাকি ম্যাচগুলো হেরেছি বা রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। মন খারাপ ছিল তবে ভারতের বিপক্ষে আসলে আমরা এখন আমাদের যে কন্ডিশন দলে আমরা আসলে এটা (জয়) ডিজার্ভ করি। আমি মনে করি, আমাদের পরের ম্যাচটা আমরা জিতবো। যেহেতু আসলে এখন আমরা পিছিয়ে গেছি। অন্তত একটা ড্র, একটা জয় আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ওভাবেই জিতবো।’