বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের মধ্যকার চলমান অস্থিরতা সমাধানের পথে। কোচ-ফুটবলার দ্বন্দ্ব নিয়েই ঈদের ছুটিতে গিয়েছিলেন সাবিনারা। ঈদের ছুটি শেষে গত রোববার থেকে বাফুফের (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) ক্যাম্পে ফিরতে শুরু করেন নারী ফুটবলাররা। সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিক ক্যাম্প শুরু হয়েছে তাদের। যদিও এদিন কোনও অনুশীলন হয়নি। শুধু জিম সেশন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকে মাঠের অনুশীলন হবে। সেই অনুশীলনে যোগ দেবেন বিদ্রোহী ফুটবলাররাও। এদিকে ক্যাম্প শুরু হলেও দুদিন আগেই বাফুফে ভবনে এসেছিলেন সাবিনা খাতুনসহ ৭ ফুটবলার। তারা বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সাথে ঈদেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। সে সময় নির্বাহী কমিটির অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ব্রিদোহীদের মধ্যে ৪ জন ফুটবলার- সাবিনা খাতুন, মনিকা চামকা, মাতসুসিমা সুমাইয়া ও ঋতুপর্ণা চাকমারা গেছেন ভুটানে। সেখানকার ক্লাব পারো এফসিতে খেলবেন তারা। ভুটানের আরেকটি ক্লাবে খেলার কথা রয়েছে রুপনা চাকমা ও মাসুরা পারভীনের। এছাড়া মোসাম্মত সাগরিকার সঙ্গে অন্য একটি ক্লাবের কথা চলছে বলে জানা যায়। এই তিন ফুটবলার ক্যাম্পেই আছেন বর্তমানে।
ভুটানে যাওয়া ৪ ফুটবলার বাদে তহুরা খাতুন এখনো ক্যাম্পে যোগ দেননি। জানা গেছে, তার বোন অসুস্থ থাকায় দুই দিন ছুটি নিয়েছেন তিনি। বাকি ১৩ জন শিউলি আজিম, সাগরিকা, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সানজিদা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন, মাসুরা পারভীন, মারিয়া মান্ডা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, কৃষ্ণা রানী, স্বর্ণা রানী মণ্ডল, সাথী বিশ্বাস ও নাসরিন আক্তার সোমবার বাফুফে ভবনে কোচ বাটলারের সঙ্গে মিটিং করেছেন।প্রায় ৪০ মিনিটের মতো স্থায়ী হওয়া সেই মিটিংয়ে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জানা গেছে, বাটলারের বিপক্ষে আনা অভিযোগগুলো নিয়েও মিটিংয়ে কথা হয়েছে। যেখানে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত এই ১৩ জন আজ থেকে অনুশীলনে ফেরার আগ্রহ দেখিয়েছেন।
এদিকে গতকালের জিম সেশনে অংশ নেন ৩১ ফুটবলার। বাফুফের সঙ্গে চুক্তি করা ৩৬ জনের মধ্যে স্বপ্না রানী, অর্পিতা বিশ্বাস, জয়নব বিবি, মুনকি আক্তার ও কোহাতি কিসকু ব্যক্তিগত কারণে এখনো ক্যাম্পে যোগ দেননি। ২০২৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় হবে এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপ। সেই প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে ২৩ জুন থেকে ৫ জুলাই অনুষ্ঠেয় বাছাইপর্বে অংশ নেবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।