চতুর্থ ম্যাচে প্রথম জয়ের দেখা পেল ১০ জনের আবাহনী লিমিটেড। শুরুটা হলো ড্র দিয়ে। পরের দুই ম্যাচে হেরেছে, এর মধ্যে সর্বশেষটা আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে হতাশার বৃত্তে থাকা আবাহনী লিমিটেড চতুর্থ ম্যাচে অবশেষে পেল প্রথম জয়ের দেখা। পুলিশ এফসিকে আজ ২-০ গোলে হারিয়েছে আকাশি-নীলরা। একই দিন আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পেয়েছে ফর্টিস এফসি।

কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে আবাহনী ১০ জনের দলে পরিণত হলেও জিততে কোনো অসুবিধা হয়নি আবাহনীর। দুটি গোলই আসে প্রথমার্ধে। ২৫ মিনিটে স্পট কিক থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন সুলেমান দিয়াবাতে। ডি বক্সে পড়ে গিয়ে পেনাল্টিটা অবশ্য তিনিই আদায় করে নেন।

এর আগে অবশ্য শুরুর একাদশ থেকে বাধ্য হয়ে দুটি পরিবর্তন আনতে হয় আবাহনী কোচ মারুফুল হককে। ইব্রাহিম হোসেনের জায়গায় পাপন সিংহ ও ব্রুনো মাতোসের জায়গায় এনামুল ইসলাম গাজীকে মাঠে নামান তিনি। ৪৩ মিনিটে গাজীর পা থেকেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে আবাহনী। শেখ মোরসালিনের বাঁকানো ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ এক ভলিতে বল জালে জড়ান এই মিডফিল্ডার।বিরতির পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু আবাহনীর রক্ষণ আর ভাঙতে পারেননি। ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার পর যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে আবাহনীর আলমগীর মোল্লা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পাওয়ার মতো ফাউল করায় রেফারিকে বাধ্য হয়ে লাল কার্ডও বের করতে হয় পকেট থেকে। যদিও তা কোনো প্রভাব ফেলেনি আবাহনীর জয়ে। ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে তারা। এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে পাঁচে পুলিশ।

মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে ফর্টিসও জয়সূচক গোলটি পায় প্রথমার্ধে। ১৬ মিনিটে পা ওমর বাবুর ফ্রি কিকে জটলার মধ্য থেকে পা ছুঁইয়ে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান রিয়াজ উদ্দিন সাগর। দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনীর মতো ১০ জনের দলে পরিণত হয় ফর্টিস। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে আরামবাগের শহীদুল ইসলামের মুখে কনুই দিয়ে আঘাত করে সরাসরি লালকার্ড দেখেন আতিকুর রহমান ফাহাদ। কিন্তু একজন বেশি নিয়ে খেলেও আরামবাগ পারেনি আর ম্যাচে ফিরতে। ৪ ম্যাচে জয়হীন থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নয়ে আছে তারা। জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ফর্টিস উঠে এসেছে টেবিলের তিনে। কাল ফুটবল লিগে রয়েছে তিনটি ম্যাচ। শীর্ষস্থান দখলের লড়াইয়ে রহমতগঞ্জের মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা কিংস। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুই দলই যৌথভাবে রয়েছে শীর্ষে।