আগেই ধারণা করা হয়েছিল কোচ পিটার বাটলার সিনিয়র কয়েকজন ফুটবলারকে বাদ দিয়েই জর্ডান সফরের দল তৈরি করবেন। তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ১৮ ফুটবলারের মধ্যে তিনি ছুঁড়ে ফেলেছেন সাবিনা খাতুন, মাসুরা পারভীন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার ও মাৎসুশিমা সুমাইকে। এই পাঁচজনের মধ্যে সাবিনা ও মাসুরা ফর্মে থাকার পরও কেন তাদেরকে বাদ দেয়া হয়েছে তা নিয়ে রোববার তোপের মুখে পড়েন কোচ পিটার বাটলার ও বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ। গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে জর্ডানে অনুষ্ঠিতব্য ত্রিদেশীয় সিরিজের দল ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাহফুজা আক্তার কিরণ। সাবিনা খাতুনসহ ১০ নারী ফুটবলার ভুটানের লিগে খেলতে যান। তারা সবাই ছিলেন কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। সেখান থেকে ৫ জনকে কোচ ডাকলেও ফর্মে থাকা সাবিনা-মাসুরাকে বিবেচনায় আনেননি। যদিও ভুটানের লিগে সাবিনা এক ম্যাচে ৯ গোল করে নিজেদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার প্রমাণ দিয়েছেন। সিনিয়র ৫ ফুটবলারকে না ডাকার কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে পিটার বাটলার বলেছেন, ‘আমাকে অনেক কিছু বিবেচনা করেই দল তৈরি করতে হয়েছে। ফিটনেস, শৃঙ্খলা এবং আগামীর জন্য একটা শক্তিশালী দল গঠণের জন্যই ডেভেলপমেন্টে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’ ভুটানের থাকা যে ৫ জনকে ডাকেননি তাদের প্রত্যেকের সম্পর্কে আলাদা করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যদি কোচের সেই ব্যাখ্যা অনেকের কাছেই গ্রহনযোগ্য হয়নি। তিনি সাবিনা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘তার ফর্ম শেষের দিকে।’ অন্যদের ফিটনেসের ঘাটতি ও লম্বা সময় ধরে অনুশীলনে না থাকার কারণ সামনে এনেছেন। মুখে কোচ যাই বলুক তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেয়ার কারণেই যে সাবিনা ও মাসুরা ফর্মে থাকার পরও ডাকেননি সেটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। সাবিনা ও মাসুরাকে কেন নেয়া হয়নি বাফুফে সে বিষয়ে কোচের কাছে কিছু জানতে চেয়েছিল কিনা সে প্রসঙ্গে মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘দল ঠিক করা কোচের এখতিয়ার। আমরা কখনো কোচের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করি না। এর ব্যাখ্যা কোচই ভালো দিতে পারবেন। তিনি স্বাধীন।’