দেশের শীর্ষ ফুটবল লিগের নতুন মৌসুমের পর্দা উঠল গতকাল । মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে গতবারের রানার্সআপ ও সর্বোচ্চ ছয়বারের পেশাদার লিগ জেতা আবাহনীর লিমিটেডের কিছু সমর্থক এসেছিলেন জয়ের আশায়। কিন্তু সুলেমান দিয়াবাতে, শেখ মোরসালিন, আল আমিনদের নিয়ে গড়া আবাহনীর শক্তিশালী আক্রমণভাগ রহমতগঞ্জের গোলমুখই খুলতে পারল না। ৫১ মিনিট দশজনের দল নিয়েও গত লিগে চতুর্থ হওয়া রহমতগঞ্জ রুখে দিল আবাহনীকে। গোলশূন্য ড্রয়ে বাংলাদেশ ফুটবল লিগ শুরু করল মারুফুল হকের দল।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে রহমতগঞ্জের মিডফিল্ডার আরাফাত হোসেন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। তখন মনে হচ্ছিল, আবাহনীর গোল সময়ের অপেক্ষা।
কিন্তু রহমতগঞ্জ গোলকিপার মামুন আলিফের দৃঢ়তা, নেপাল জাতীয় দলের সেন্টার-ব্যাক অভিষেক লিম্বুর কঠিন রক্ষণ আর অধিনায়ক সলোমন কিংয়ের লড়াকু মানসিকতা বাধা হয়ে দাঁড়াল আবাহনীর সামনে।
আবাহনীর জার্সিতে লিগে প্রথম ম্যাচ খেললেন গত মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় দিয়াবাতে। একাধিকবার গোলের কাছাকাছি গিয়েও জাল খুঁজে পাননি মালির এই ফরোয়ার্ড। প্রথমবারের মতো নামলেন শেখ মোরছালিন ও জাতীয় দলের স্ট্রাইকার আল আমিনও। তাদের আক্রমণ শুধু সুযোগ তৈরি করেছে, গোল আনতে পারেনি।
শেষ পর্যন্ত নতুন অধিনায়ক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে আবাহনীকে মানতে হলো হতাশার ড্র। অন্যদিকে ১০ জনের দল নিয়েও রহমতগঞ্জ প্রমাণ করল, তারা হাল ছাড়তে জানে না।
দিনের অন্য ম্যাচে মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও ফকিরেরপুল ইয়াংমেন্স ক্লাব। এই ম্যাচটিও হয়েছে ড্র ( ১-১)।
৫৯ মিনিটে নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড ইয়াইয়া জনের গোলে এগিয়ে যায় আরামবাগ। যোগ করা সময়ে গোলটি শোধ করে ফকিরেরপুলকে নাটকীয় ড্র এনে দেন মিশরের মিডফিল্ডার মোস্তফা কাহরাবা।