এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ফিরতি লেগে অংশ নিতে হংকং গেল বাংলাদেশ ফুটবল দল। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ৩৪ সদস্যের বাংলাদেশ কনটিনজেন্ট ঢাকা ত্যাগ করে। ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে মাঠে নামবেন জামাল ভূঁইয়ারা। এই ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না লাল-সবুজের দল। দলের ২৩ জন ফুটবলারসহ কোচিং স্টাফ ও কর্মকর্তারা একসঙ্গে রওনা হন। তাদের মধ্যে ফাহমিদুল হক খানিকটা নাটকীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট ধরতে সক্ষম হন। দেশে ফেরার পর তার পাসপোর্ট ভিসার জন্য জমা দেওয়া হয়েছিল চীনা দূতাবাসে। যদিও দলের বাকি সদস্যদের ভিসা একদিন আগেই সম্পন্ন হয়। ফাহমিদুলের ভিসা প্রক্রিয়ায় সময় লেগে যায় কিছুটা বেশি। গতকাল ছুটির দিনেও বিশেষ ব্যবস্থায় চীনা দূতাবাস তার পাসপোর্ট হস্তান্তর করে। বাফুফে কর্মকর্তারা সকাল সাড়ে ১১টায় পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দুপুর ১২টার মধ্যেই বিমানবন্দরে পৌঁছে দেন। ফলে তিনি শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট ধরতে পারেন। এদিকে দলের তিন ফুটবলার হামজা চৌধুরী (ইংল্যান্ড), সামিত সোম (কানাডা) ও জায়ান আহমেদ (যুক্তরাষ্ট্র) নিজ নিজ দেশের পাসপোর্টধারী হওয়ায় তাদের ভিসার প্রয়োজন হয়নি। দলের সবাই ব্যাংককে যাত্রাবিরতির পর হংকং সময় রাত ১০টার দিকে পৌঁছায় এবং আজথেকেই অনুশীলন শুরু করবে। ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী স্বাগতিক দেশ ৪৮ ঘণ্টা আগে সফরকারীদের অনুশীলন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানে বাধ্য না। ভারতে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়ে বাংলাদেশ বিড়ম্বনায় পড়েছিল। হংকংয়ের জন্য দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশের ম্যানেজার আমের খানের মন্তব্য,‘স্বাগতিক দল তো কিছু সুবিধা নেবেই। হংকং যেমন দাবি করেছে আমরা নাকি রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করেছি। যেটা ম্যাচ কমিশনার মিটিং ছিল সেখানে এটা ভেঙে দেয়া হয়েছে যে ছোট শহর এ রকম জ্যাম আমাদের নিয়মিতই হয়।’ হংকংয়ের ঢাকা থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইটেই যাওয়ার কথা থাকলেও তারা গতকাল রাতে চাটার্ড ফ্লাইটে দেশে রওনা হয়।