ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ফিরতি লেগের ম্যাচ সামনে রেখে লক্ষ্য নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে নিজের অনুভূতি জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া। সেখানে ঘরের মাঠে ভারতকে হারানোর বড় সুযোগ দেখার কথা যেমন বললেন, তেমনি বললেন, ম্যাচটি তার জন্য আবেগেরও। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার রাত ৮টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। বাছাই পেরুনোর স্বপ্ন গুঁড়িয়ে গেলেও দুই প্রতিবেশী দুই দেশের ম্যাচটি ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের কমতি নেই। জামালও বললেন, রোমাঞ্চ নিয়ে ক্ষণ গুণছেন তারাও।এটা অনেক আবেগের ম্যাচ, হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। এই ম্যাচের পর জাতীয় দলের জন্য অনেক লম্বা বিরতি আছে। বছরটা যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, তা শুধু আমাদের জন্য নয়, সমর্থক ও আপনাদের জন্যও ইতিবাচক হবে। ২০০৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের পর ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে কলকাতার সল্টলেকে দারুণ সুযোগ কড়া নেড়েছিল দুয়ারে। সাদ উদ্দিন দলকে এগিয়ে নিয়ে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন, কিন্ত শেষ দিকের গোলে জয়ের স্বপ্ন ভাঙে। সবশেষ এশিয়ান কাপ বাছাইয়েই নিজেদের প্রথম ম্যাচে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল দল। স্বাভাবিকভাবেই অপ্রাপ্তি আছে জামালেরও। এখনও ভারতের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পাননি তিনি। এবার তা পেতে মুখিয়ে আছেন জামাল। তার দাবি, এ মুহূর্তে ভারতের চেয়ে শক্তিশালী বাংলাদেশ।আজকের ম্যাচে অনেক ফ্রি কিক হবে, হলুদ কার্ড হবে, গালাগালি হবে। তবে আমি এটা স্বাভাবিক ম্যাচ হিসেবে ধরব। তবে বর্তমানে আমরা যে অবস্থায় আছি এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে।” সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশ বিশেষ করে তাকিয়ে থাকবে হামজা চৌধুরীর দিকে। ইংল্যান্ড প্রবাসী এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এরই মধ্যে লাল-সবুজের জার্সিতে ছয় ম্যাচে করেছেন ৪ গোল। যার দুটিতে অ্যাসিস্ট ছিল জামালের। দুজনের মধ্যে দারুণ বনিবনার কারণটাও জানালেন অধিনায়ক।আমি সৌভাগ্যবান যে হামজাকে অ্যাসিস্ট করতে পেরেছি। একটা কর্নার থেকে আর একটা বাইসাইকেল গোলে। বাইসাইকেল গোলটা আমার দেখা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা। অবশ্যই এক নম্বরে থাকবে।হামজা বিদেশ থেকে এসেছে আমার মতন। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভালো। হামজার যখনই কোনো সমস্যা হয় আমাকে টেক্সট করে বা কল করে। ফুটবল নিয়ে কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আমি হামজাকে জিজ্ঞাসা করি। আমাদের মধ্যের এই বোঝাপড়া মাঠের বাইরে থেকে শুরু হয়েছে।”
দলের সবার মধ্যেও এই বোঝাপড়া, ভারত ম্যাচ নিয়ে সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ সামাল দেয়ার সামর্থ্য দেখতে চান জামাল। “ফুটবলারদের জন্য চাপ থাকাটা স্বাভাবিক। সকালে যখন আমি নাস্তা করতে যাই লিফটের ভেতরে আমি বাংলাদেশের ক্রিকেট কোচকে পেলাম। তো উনি আমাকে একই প্রশ্ন করেছেন। আমি বলেছি চাপ সবসময় থাকে। তবে এটা সামলানোই আমার কাজ। পরে তিনি বললেন, আমিও ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে থাকব। “তাই ক্রিকেটের দিকটা যদি দেখেন তারাও রোমাঞ্চিত। শুধুমাত্র সমর্থক কিংবা পরিবার নয়। অন্যান্য খেলাধুলার লোকেরাও আগ্রহ দেখাচ্ছে। সারা বাংলাদেশ এই খেলা দেখবে।”