বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর এখন নতুন পরিচয়ে। দীর্ঘ এক যুগ ধরে ‘বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ’ নামে পরিচিত প্রতিযোগিতাটি এবার থেকে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ফুটবল লিগ (বিএফএল) নামে।

ঘটনার শুরু ২০০৭ সালে, যখন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) বাংলাদেশেও পেশাদার লিগ আয়োজনের প্রস্তাব দেয়। সে সময় তড়িঘড়ি করে বাফুফে নাম রাখা হয়েছিল ‘বি লিগ’। এতে নাম নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়, কারণ অনেকেই মনে করেছিলেন এটি দ্বিতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা।

২০০৮ সালে বাফুফে সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিন দায়িত্বে আসার পরই দেশের শির্ষ এই ফুটবল লিগের নাম পরিবর্তন করে ‘বি’ লিগ হয়ে গেল ‘বাংলাদেশ লিগ’। যদিও এতে কিছুটা বিভ্রান্তি কমে, তবুও মর্যাদা পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি।

২০১১ সালে আবারও পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় ‘বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)’। প্রায় ১৩ বছর ধরে এই নামেই মাঠে গড়িয়েছে দেশের শীর্ষ ফুটবল লিগ। তবে সমস্যা হলো ক্রিকেটের জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট বিপিএল, যা ফুটবল লিগের পরিচিতিকে আড়াল করে দিতে থাকে।

অবশেষে বাফুফের জরুরি সভা ও ক্লাব প্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন নামকরণ করা হয়েছে। সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান ঘোষণা দেন, এবার থেকে লিগের নাম বাংলাদেশ ফুটবল লিগ (বিএফএল)।

নতুন নামের সঙ্গে বদলাবে লিগের লোগোও। সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ায় এখন ব্যস্ততা ব্যানার, পোস্টার ও ব্র্যান্ডিং নিয়ে। আজ শুক্রবার মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে এই নতুন নামে যাত্রা শুরু করবে ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা।

বসুন্ধরা গ্রুপ থাকছে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে, পাশাপাশি নতুন স্পন্সর নিয়েও আলোচনা শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফুটবলপ্রেমীদের প্রত্যাশা, নতুন নাম শুধু পরিচয়ই বদলাবে না, বরং দেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ গড়ার পথও প্রশস্ত করবে।