ফেডারেশন কাপ ফুটবলে আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের মধ্যকার নাটকীয়তাপূর্ণ ফাইনাল স্থগিত করা হয়েছে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে ড্র ছিল। এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের ১৫ মিনিট খেলা হওয়ার পর আলোর স্বল্পতা দেখা দেয়। সন্ধ্যা নেমে এসেছে ময়মনসিংহ রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে। ফ্লাডলাইটও নেই। ফলে এই পরিস্থিতি খেলা চালানো সম্ভব হয়নি। তাই রেফারিরা ম্যাচ স্থগিত ঘোষণা করে মাঠ ছেড়ে যান। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হযয়েছে, বাকি খেলা পরবর্তী কোন সময় অনুষ্ঠিত হবে তা বাফুফের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হবে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের মধ্যে ১৫ মিনিটের শেষ মুহূর্তে এসে লাল কার্ড দেখেন বসুন্ধরা কিংসের ফাহিম। ১০ জনের দলে পরিণত হয় গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলটি। এ পরিস্থিতিতে আবাহনী চেয়েছিল খেলা চালিয়ে নিতে। মাঠে আবাহনীর দর্শকরাও দাবি তুলেছিল খেলা চালিয়ে নিতে। কিন্তু সূর্য ডুবে যাওয়ার ফলে মাঠ অন্ধকার হয়ে যায়। এর পরিস্থিতিতে খেলা চালানো সম্ভব নয়। আবাহনীর খেলোয়াড়দের দাবির মুখেও খেলা স্থগিত ঘোষণা করতে বাধ্য হন ম্যাচ রেফারিরা।

নাটকীয়তাপূর্ণ ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, একের পর এক কার্ড, বৈশাখী ঝড়ে খেলা বন্ধ থাকাসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আসল কাজের কাজ হয়নি। ম্যাচের ফলই বের করা যায়নি।১৩ মিনিটের মধ্যে হওয়া পাল্টাপাল্টি দুই গোলের পর আর কেউ পায়নি জালের খোঁজ। ১-১ গোলেই শেষ হয়েছে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনী-কিংস মহারণের নির্ধারিত সময়।৬ মিনিটে কিংসের এগিয়ে যাওয়ার ৭ মিনিট পর আবাহনীর সমতায় ফেরা। কেবল গোল পাল্টা গোলই নয়, প্রথমার্ধে হলুদ কার্ডেরও ছড়াছড়ি ছিল। দুই দলের মাঠের ৩ জন করে এবং বেঞ্চের একজন করে মোট ৮ জনকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি সাইমুন হাসান।ম্যাচেও ছিল উত্তেজনা। একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে রেফারিকে বেশি বেশি কার্ড ব্যবহার করতে হয়েছে।

এর মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৪৭ মিনিটের সময় প্রবল বৈশাখী ঝড় আর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ রাখতে হয় অনেকটা সময়। বৃষ্টির তোড়ে উড়ে গেছে বিলবোর্ড। ঝড়ের ঝাপটা লেগেছে প্রেসবক্সেও। পরে আবহাওয়া শান্ত হলে আবারও মাঠে গড়ায় খেলা। এর আগে গ্যালারিতে তখনো ঠিকঠাক মতো জায়গা পেতে বসেননি দর্শকরা। ম্যাচ কেবল গড়িয়েছে ষষ্ঠ মিনিটে। এরই মধ্যে আবাহনী সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিয়ে লিড নিয়ে নেয় বসুন্ধরা কিংস। কিংসের প্রথম আক্রমণেই আবাহনীর রক্ষণকে মনে হয়েছিল এলোমেলো। গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে দেখা গেছে আস্থাহীন। আবাহনী যখন গুছিয়ে উঠতে শুরু করে তখনই বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পায় কিংস।

সাদ উদ্দিনের ফ্রি কিকে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লেসকানোর হেডে কাঁপে আবাহনীর জাল।বড় ম্যাচে শুরুতেই লিড কিংসকে করে তোলে আরও আত্মবিশ্বাসী। দ্রুত গোল শোধ করতে মরিয়া হয়েই আক্রমণের চেষ্টা করছে আবাহনী। কিংসের ডিফেন্সের কঠোর নজরদারিতে ভেস্তে যাচ্ছিল আবাহনীর চেষ্টা। তবে ম্যাচে ফিরতে বেশি সময় নেয়নি আবাহনী। মারুফুল হকের দল স্কোরলাইন ১-১ করে ১৩ মিনিটেই। বাম দিক থেকে এমেকা ঢুকে বল ফেলেন কিংসের বক্সে। ইব্রাহীম গোল করে ম্যাচে ফেরান আকাশি-নীলদের।