লিওনেল মেসির স্মৃতিবিজরিত বার্সেলোনার ১০ নাম্বার জার্সিটি এখন লামিন ইয়ামালের। কাতালান ক্লাবটিতে ২০৩১ পর্যন্ত চুক্তি নবায়নের আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন হয়েছে বুধবার। ছয় বছরের এই নতুন চুক্তি গত মে মাসে সম্পন্ন হলেও ইয়ামালের দাদি উপস্থিত হতে না পারায় সেসবের ছবি তখন প্রকাশ করা হয়নি। এদিন দাদিসহ ভাই ও বন্ধুদের নিয়ে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। কিছুদিন আগেই বার্সা থেকে এক বছরের জন্য ফরাসি ক্লাব এএস মোনাকোতে ধারে গেছেন আনসু ফাতি। এরপর এ আইকনিক জার্সি হাতে পাওয়া নিশ্চিতই ছিল সদ্য ১৮ বছরে পা দেয়া ইয়ামালের। এ প্রসঙ্গে বার্সার এ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড বলেন, ‘ছোটবেলায় বার্সায় হয়ে অভিষিক্ত হবার ও ১০ নাম্বার জার্সিটি পড়ে খেলার স্বপ্ন ছিল। বার্সেলোনায় জন্ম নেয়া প্রতিটি শিশুই এই স্বপ্ন দেখে। মেসি তার মতো করে এটি গড়েছেন, আমি আমার মতো করে গড়ব।’ জার্সির আনুষ্ঠানিকতা সারার আগে আরেকটি কাজও ইতিমধ্যে সম্পন্ন করে ফেলেছে বার্সা। স্পেনের যে অঞ্চল থেকে ইয়ামাল উঠে এসেছেন সেই রোসাফন্দায় একটি মুর‌্যাল বানিয়ে দিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। শৈশবে ইয়ামাল যে মাঠে খেলতেন, তার পাশেই দেয়ালচিত্রে লেখা, ‘রোসাফন্দা থেকে বিশ্বমঞ্চে’। বার্সেলোনার ১০ নাম্বার জার্সিটির ভার অনেক বেশি। ম্যারাডোনা, রোমারিও, রিভালদো, রোনালদিনহোর মত মহাতারকাদের পর এই জার্সি গায়ে চাপিয়ে বহু ইতিহাস রচনা করেছেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মেসি। ২০০৮-এ জার্সিটি হাতে পাবার পর ২০২১-এ বার্সা ছেড়ে যাবার আগ পর্যন্ত তিনিই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে এ জার্সির মালিক ছিলেন। ইন্টার মায়ামির বর্তমান এ অধিনায়ক বার্সা ছেড়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) পাড়ি জমালে এটি পান ফাতি। তবে ক্রমাগত চোটের কারণে এই আইকনিক জার্সিটির প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ইন্টারনেট।