বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) গঠনতন্ত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। ফিফার গাইড লাইন মেনে গঠনতন্ত্র সংস্কারের কাজ করছে বাফুফে। সম্প্রতি ফিফা নতুন কিছু গাইড লাইন দিয়েছে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে এসব গাইড লাইন অনুসরণ করতে হবে। বিশেষ করে সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সহ-সভাপতি পদে যারা নির্বাচিত হতে চান, তাদেরকে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। আগের নিয়মে ভোট হলে হবে না। ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে ভোটকেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যারা ভোটার অনেকেই ভোট দিয়ে চলে যান। পরে জানতে পারেন কে কোন পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

নতুন গঠনতন্ত্র পাশ হলে ভোটাররা ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করবেন। নতুন করে ভোট দিতে হতে পারে। বাফুফের শীর্ষ ৬ পদে নির্বাচন করতে হলে প্রস্তাবকারী এবং সমর্থনকারী হতে হবে ৫ জন। আগে ছিল ১ সমর্থনকারী এবং ১ জন প্রস্তাবকারী। এই নিয়ম উঠে যাবে। ফিফার এমন গাইড লাইন প্রার্থীদের নির্বাচন কঠিন করে দেবে। তবে সদস্যদের নির্বাচনের বেলায় প্রস্তাবকারী এবং সমর্থনকারী ১ জন করেই রাখা হয়েছে।

ফিফা বাফুফেকে বলেছে ডেলিগেট কমাতে। গাইড লাইনও দিয়েছে কীভাবে কী করতে হবে। নামকাওয়াস্তে ভোটার হয়ে নির্বাচনে ভোট দেওয়ার দিন শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে। ফিফা প্রথম কথাই বলেছে ফুটবলে সম্পৃক্ত নয়, এমন কেউ ভোটার হতে পারবেন না। ভোটার হওয়ার নিয়মও পরিবর্তন করতে হবে। যারা কাউন্সিলর হবেন তাদেরকে বছরে অন্তত দুটা লিগ খেলতে হবে। শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নতুন নিয়মের আওতায় আনা হচ্ছে। শিক্ষা বোর্ডকে বছরে ৫০টা ফুটবল ম্যাচ খেলতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোকে ভোটার করা যাবে। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আয়োজিত লিগ শেষে চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ ও তৃতীয় স্থান পাওয়া দল ভোটার হতে পারবে।

নারী ফুটবল লিগে ভোটার সংখ্যা বাড়ছে। লিগ খেলতে হবে, সেটি ঠিক রেখেছে। তবে শনিবার অনুষ্টিত বাফুফের সভায় মহিলা কমিটি থেকে ১৩টি কাউন্সিলর চাওয়া হয়েছিল। সেটি গ্রহণ করেনি সভা। সভার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা মহিলা ফুটবল কমিটির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বলেছে যদি মহিলা লিগ দুটি আয়োজন করতে পারে তাহলে ১৩টি নয়, ৮টি কাউন্সিলর দেওয়া যাবে। আর যদি একটি লিগ হয় তাহলে ৬টি কাউন্সিলর পাবে মহিলা ফুটবল ক্লাবগুলো। সেক্ষেত্রে মহিলা লিগ যদি ৬টি ক্লাব নিয়েও হয় তবুও ৬টি কাউন্সিলর পাবে মহিলা ফুটবল ক্লাব। মহিলা ফুটবলের কাউন্সিলর হওয়ার বিষয়টি এক প্রকার নিশ্চিত হলেও অন্যান্য বিষয়টি পরবর্তী সভায় চূড়ান্ত হবে।বাফুফের গঠনতন্ত্রে পরিবর্তনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে ফিফার টেবিলে। ফিফার গাইড লাইন অনুসরণ করা হয়েছে কিনা সেটি যাচাইবাছাই করে অনুমোদন দেওয়া হলে বাফুফে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।