সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মোসাম্মত সাগরিকার হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশ ৯-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে শ্রীলংকাকে। সাগরিকার হ্যাটট্রিক ছাড়াও মুনকি আক্তার দুটি এবং স্বপ্না রানী, রুপা, শান্তি মার্দি ও শিখা আক্তার একটি করে গোল করেছেন। ৯০ মিনিট শেষে ইনজুরি সময়ে শ্রীলংকা এক গোল পরিশোধ করে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় গতকাল থেকে শুরু হয়েছে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী হয় বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার ম্যাচ দিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব আগেই ছিল। কিছুদিন আগেই তারা নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো জায়গা নিশ্চিত করে। সেই সিনিয়র দলের আটজন অ-২০ দলেও রয়েছেন। ফলে স্বাগতিক বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক সাফে শ্রীলংকাকে বড় ব্যবধানে হারানো স্বাভাবিকই। মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ২৩ জনের আটজনকেই এই ম্যাচের একাদশে রাখেন কোচ পিটার বাটলার। লঙ্কানরা বাংলাদেশের আক্রমণ সামলাতেই বেশি ব্যস্ত ছিল। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে দারুণ এক গোলে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন স্বপ্না রানী। চতুর্থ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে এগিয়ে গিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুনকি আক্তার। ৩৭ মিনিটে সিনহা জাহান শিখার ক্রস আটকাতে এগিয়ে আসেন থারুশিকা। বল তার পায়ের ফাঁক দিয়ে চলে যায় সাগরিকার কাছে। গোল করতে কোনো ভুল করেননি এই ফরোয়ার্ড। বিরতির পর অধিনায়ক আফিদা খন্দকারসহ তিনজনকে উঠিয়ে নেন কোচ বাটলার। এতে অবশ্য বাংলাদেশের খেলার ধার কমেনি মোটেও। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সাগরিকার কাটব্যাকে গোলমুখে আনমার্কড থাকা মুনকি গোল করেন। ৫০ মিনিটে বাঁ দিক থেকে আসা ক্রস দারুণ প্লেসিং শটে জালে জড়ান শিখা। তিন মিনিট পর একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে বক্সে ঢুকে নিচু শটে ব্যবধান বাড়ান সাগরিকা। পাঁচ মিনিট পর পূজার কাট ব্যাকে প্লেসিং শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই ফরোয়ার্ড। ৮৩ মিনিটে রুপা বাংলাদেশের হয়ে অষ্টম গোল করেন। ইনজুরি সময়ে শ্রীলঙ্কার লালিয়ান এক গোল শোধ দেন। শেষ বাঁশি বাজার আগমুহূর্তে বাংলাদেশের হয়ে শেষ গোলটি করেন শান্তি। বড় জয়, সাগরিকার হ্যাটট্রিক নিয়ে তৃপ্তি থাকলেও বাংলাদেশ কোচ পিটার জেমস বাটলারের কথায় উঠে এলো গোলমুখে মুনকি-শিখাদের সুযোগ নষ্টের দিকটি। মাঠের কন্ডিশন নিয়েও নিজের হতাশা আড়াল করেননি এই ইংলিশ কোচ। তিনি বলেন ‘প্রথমত গতিময় এবং আক্রমণাত্মক খেলার জন্য কন্ডিশন কঠিন ছিল। আমি কেবলই অনুভব করছি, আমরা একটু বেশিই সুযোগ নষ্ট করেছি এবং আমি অল্প কয়েকজনকে খেলার সুযোগ দিতে পেরেছি। আমার দৃষ্টিতে কেউ খুবই ভালো করেছে, অন্যরা হয়তো অতটা ভালো ছিল না। সাগরিকা ছিল দারুণ, নবীরন দৃঢ় মানসিকতার, শিখাও ভালো করেছে। আসলে, এদের মধ্যে অনেকে দীর্ঘসময় খেলেনি। তবে আমি ভেবেছিলাম, ফিনিশিংয়ে আমরা আরও বেশি কার্যকর হব, কিন্তু মাঠের পরিস্থিতি আমাদের সাহায্যে আসেনি। মাঠ খুবই ভারী ছিল। অবশ্যই, এটা কারো দোষ নয়। কদিন ধরে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল। মাঠ যেমন ছিল, সেটাই বললাম আরকি। কিন্তু আমরা ৯ গোল করেছি। শেষ দিকে একটা গোল খাওয়ায় একটু হতাশা আছে। তবে স্বস্তির বিষয় ম্যাচটা আমরা শেষ করতে পেরেছি কোনো চোট ছাড়াই।’ খেলার মাঝে শ্রীলঙ্কার একাধিক খেলোয়াড় মাঠ ছেড়েছেন চোট পেয়ে। দলটির কোচ সিরান্থা কে কালহাথ বাংলাদেশের খেলার প্রশংসা করলেও মাঠ নিয়ে ঠিকই জানালেন উষ্মা। তিনি আরো বলেন ‘আমি জানি বাংলাদেশ আসলেই খুবই ভালো দল। তারা লম্বা সময় প্রস্তুতি নিয়েছে। আমার দলে তিন জন অভিজ্ঞ, বাকিরা একেবারেই নতুন। তাদের জন্য এটি ভালো অভিজ্ঞতা। আমি মনে করি, মাঠের অবস্থা একটু খারাপ। কিছু চোটও হয়েছে। আমি মেয়েদের বলেছি, এটা তোমাদের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা। আমি এটা প্রত্যাশা করিনি। আবহাওয়া বদল করা সম্ভব নয়। তবে আমি আসলেই এমন মাঠ প্রত্যাশা করিনি।’ ১৩ জুলাই নেপালের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ১৫ ও ১৭ জুলাই টানা দুই ম্যাচে মেয়েদের প্রতিপক্ষ ভুটান। ১৯ জুলাই আবার লঙ্কানদের মুখোমুখি হবেন স্বপ্না-সাগরিকারা। আর ২১ জুলাই নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।
ফুটবল
শ্রীলংকাকে ৯-১ গোলে হারিয়ে সাফ মিশন শুরু বাংলাদেশের
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মোসাম্মত সাগরিকার হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশ ৯-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে শ্রীলংকাকে। সাগরিকার হ্যাটট্রিক ছাড়াও মুনকি আক্তার দুটি এবং স্বপ্না রানী, রুপা,
Printed Edition
