ভুটান লীগে খেলতে এবার দেশ ছাড়লেন কৃষ্ণা রানী সরকার। ভুটানের নারী ফুটবল লিগে ক্লাব দলের হয়ে খেলতে সাবিনা-সানজিদাসহ ৯ ফুটবলার আগেই গেছেন। এবার তাদের পথ অনুসরণ করে সেখানে গেলেন জাতীয় দলের অন্যতম ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী। সবার সঙ্গে কৃষ্ণার আগেই যাওয়ার কথা থাকলেও ওয়ার্ক পারমিট জটিলতায় সেটা আটকে যায়। এখন সমস্যা সমাধান হওয়ায় বুধবার সকালে ভুটান গেছেন তিনি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ১০ নারী ফুটবলার-সাবিনা খাতুন, মাসুরা পারভীন, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা, মারিয়ো মান্দা, রুপনা চাকমা, সানজিদা আক্তার, শামসুন্নাহার সিনিয়ের, সুমাইয়া ও কৃষ্ণা রানী সরকার ভুটানের লিগে খেলবেন।

এর মধ্যে কৃষ্ণা, মাসুরা, রুপনা ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডে খেলবেন। সাবিনা, ঋতুপর্ণা, সুমাইয়ো ও মনিকা খেলবেন পারো এফসিতে। থিম্পু সিটির প্রতিনিধিত্ব করবেন সানজিদা, মারিয়া ও শামসুন্নাহার সিনিয়র। উল্লেখ্য ২০২২ সালে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়। সেই সাফল্যের অন্যতম কারিগর কৃষ্ণা রাণী সরকার। গতি, শুটিং, ড্রিবলিংয়ে অসাধারণ দক্ষতা কৃষ্ণার। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা নারী ফুটবলারও কৃষ্ণা। আকস্মিক আঙ্গুলের ইনজুরিতে কৃষ্ণার ছন্দপতন হয়। তাই অনেক দিন খেলার বাইরে ছিলেন। লড়াই করে মাঠে ফিরলেও আবার নিজের সেই ছন্দ এখনো পাননি।

ভুটান জাতীয় নারী দলকে বাংলাদেশ বড় ব্যবধানেই হারায়। নারী ক্লাব ফুটবলে তারা নিজেদের ধীরে ধীরে তৈরি করছেন। গত বছর শুরু হওয়া এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভুটানের ক্লাব রয়েল থিম্পু কলেজ অংশগ্রহণ করেছে। সেই দলে বাংলাদেশের তিন ফুটবলার ছিল। অথচ বাংলাদেশের কোনো ক্লাব এতে অংশ নেয়নি। এর মধ্যে জুনের তৃতীয় সপ্তাহে এশিয়ান কাপ বাছাই রয়েছে। যেখানে অংশ নেবে বাংলাদেশ দল। এর প্রস্তুতির জন্য জাতীয় দল প্রীতি ম্যাচও খেলতে পারে। সে লক্ষ্যে জাতীয় দলের বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার যদি কাউকে দলে ডাকে সেক্ষেত্রে তার আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা করবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ফিফা উইন্ডোতে জাতীয় দলের প্রয়োজনে ক্লাব খেলোয়াড় ছাড়তে বাধ্য। এদিকে ২৫ এপ্রিল শুরু হবে ভুটান লীগের খেলা। যা প্রায় চার মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে।